পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
দুনিয়ার দেনা

যেন তারা ভরে তুলতে চাচ্ছে। যেখানে যত মানুষের মুখ দেখি সবাই আমার বুকের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ফাঁক পেয়ে এইখান দিয়ে আনাগোনা তাদের সহজ হয়েছে, বুঝেছ হে ফকির! তাই আমার বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই, রাতদিন তাই আমার বুকের দরজা খোলা রাখতে হয়। আস্‌তে চাইলে কাউকে তো আমি “না” বলতে পারিনে।

 ফকির অবাক হয়ে দেবদূতের মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। অন্ধকারে দেখা যায় না তবু প্রাণপণে দেবদূতের মুখ দেখতে চেষ্টা করতে লাগলেন। দেবদূত বল্লেন “এইভাবে এক বৎসর ঘুরে শেষে বাবার রাজ্যে ফিরে আসি তারপর তোমরা তো জানই কি ভাবে আমার দিন কেটেছে”! একটু পরে ফকির বলে উঠলেন “দেবদূত আপনার বুকের সে ফাঁকটা কি জিনিষ যার ভিতর দিয়ে জগৎ সুদ্ধ লোক আনাগোনা করে?”

 দেবদূত বল্লেন “তুমি ফাঁক চেন না—ফকির হয়েছ! ফাঁক না হলে কি কেউ ফকির হতে পারে হে!”

 যত শোনেন ফকির ততই অবাক হন। আবার বল্লেন “ফুলটি তুমি ভাসাও কেন দেবদূত? কোথায় পাঠাও, কোনদিকে?

 দেবদূত বল্লেন “স্বর্গের দিকে। স্বর্গ আমার জন্যে নয় তবু স্বর্গ খুব সুন্দর বলে আমি এই ভাবে তাকে