পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশের দোসর
২৯

 ঝকঝকে পোষাক পরা একদল বণিক, সমুদ্রতীরের এই পুরানো সহরটি দেখবার জন্যে, একদিন যাওয়ার পথে জাহাজ থামিয়ে তীরে নামল।

 সামনেই শ্রীনিবাস তার ভাঙ্গা অট্টালিকার বারন্দায় বসে। বণিকেরা জিজ্ঞাসা করলে “তুমি কে হে, তোমার নাম কি, এ বাড়ীখানা কি তোমার?”

 শ্রীনিবাস বলে, “আমার নাম শ্রীনিবাস ঠাকুর। অনেক পুরুষ থেকে এ সহরে আমার বাস। প্রায় দুহাজার বছর হল আমার পূর্ব্বপুরুষ এ ভিটাখানা তৈরী করে গেছেন। মশায়, এ আজকের জিনিষ নয়। অতি প্রাচীন, মশায়! অতি প্রাচীন।”

 শুনে বণিকেরা হো হো করে হেসে উঠে বল্লে “প্রাচীন তো বুঝলুম হে, কিন্তু প্রাচীনের উপর কি নূতন করে সংস্কার হতে নেই? শুধু কেবল প্রাচীন হয়ে থেকেই চরম সুখ, হাঃ হাঃ হাঃ বল কি হে? ওদিকে প্রাচীন অট্টালিকা যে মাথায় ভেঙ্গে পড়ে, তার কিছু ঠিক আছে? সংস্কার চাই হে, সংস্কার চাই। দেশের রাজা হুকুম করেছেন তাঁর রাজ্যের সব জায়গা এখন নূতন হবে, পুরণো ভাঙ্গা ফাটা একচুল কোথাও থাকতে পারবে না। তোমরা যদি তোমাদের ঘর বাড়ী সহর নূতন করে তৈরী না কর