পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
দুনিয়ার দেনা

বহু বছর খাজনা দিই নি, সহর তো আমদের অনেক কাল সরকারভুক্ত হয়ে গেছে। এখন আমরা দাঁড়াই কোথা”? রাজপেয়াদা বল্লে, “সহর এখন রাজার, দাও ছেড়ে তাঁর হাতে সহরের ভার। রাজা আসছেন, তোমাদের সঙ্গে নিয়ে এ সহর তিনি নিজেই গড়ে তুলবেন। তাঁর আসার খবর দিতে ও তোমাদের দিয়ে কাজ শুরু করিয়ে দিতেই আমাকে আগে পাঠিয়েছেন। এই নাও মাল মসলা, শুরু করে দাও কাজ, ঠাকুর এখুনি সব বদলাতে শুরু করে দাও। ভিটে সহর সব নতুন করে তুলতে হবে, আগাগোড়া নতুন। প্রাচীনকে যে নিত্যি নতুন করে তোলা চাই, তাকি জান না? স্বয়ং ভগবানই যে নিত্য নূতন হয়ে দেখা দেন, রূপটা তো বদলান চাই ঠাকুর।

 শ্রীনিবাস অবাক্ হয়ে রাজপেয়াদার মুখের দিকে চেয়ে রইল ও ব্যাকুল দৃষ্টিতে তার হাতের রাজদত্ত মাল মসলাগুলির দিকে বার বার চেয়ে দেখতে লাগল।

 পেয়াদা বল্লে “অন্য সব সহর, রাজ্য, রাজা আর পাঁচ জনকে ভাগ করে দিয়েছেন কেবল এই সহরটি রেখেচেন নিজের জন্য, এখানে রাজার নামেই সব কাজ হবে, অন্য কারো নামে এখানকার কোন কাজ হতে পারবে না।”

 রাজপেয়াদার কথা শুনে শ্রীনিবাস দৌড়ে গিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করে বলে উঠল, “নিন রাজা নিন,