পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পথের মানুষ
৪৫

আর তার সঙ্গে দেখা না ক’রে, সেইখান থেকেই বাড়ী ফিরে গেল। তার মনের মধ্যে নানা রকম তোলপাড় হতে লাগল।

 পরদিন দুপুরে আবার সে লুকিয়ে এসেছে। দেখে, যার ছেলে রোগমুক্ত হয়েছে, সেই মুচিনী, একটু কি খাবার নিয়ে এসে লোকটার সামনে ধরে বল্লে “বাবা একটু খাও।” তৎক্ষণাৎ লোকটি তার খাবার নিয়ে খেয়ে ফেললে। খাবারটা আর কিছু নয় কাঁচা চিঁড়ে গুড়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে লাড়ু তৈরী করা।

 পরদিন সকালে স্ত্রীলোকটি, মুটের মাথায় এক ঝাঁকা খাবার দিয়ে, তাকে সঙ্গে করে এনে, বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে, অল্প কিছু খাবার হাতে লোকটার সামনে গিয়ে বল্লে “বাবা, আমার দেওয়া এইটুকু খাবার আজ তোমাকে খেতেই হবে। তুমি এক দিনও আমার খাবার খাও না, আমি নিজের চোখে দেখেছি। কাল মুচির মেয়ে খাবার টুকু দিলে, তুমি কত খুসী হয়ে খেয়েছ, তাও আমি দেখলুম। আমার খাবার কেন খাবে না, এ খাবার কি ভাল নয়?

 “খুব ভাল, তাই জন্যেইতো সকল লোক তোমার খাবার খেতে ইচ্ছা করে। সকলের খাওয়াটা যে ঢের বড় কথা! তোমার খাবারে তাই রোজ খুব বড় কাজ হয়। মুচির মেয়ের খাবার তো কেউ খেতে ভাল