পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
দুনিয়ার দেনা

 মে। কই, আমরা তো জানিনি!

 স্ত্রী। তোমরা জাননা, কিন্তু আমি জানি।

 মে। জান তো নাও, থাক তবে ঐখানে।

 এই বলে, কাছেই এক চামারের বাড়ী পড়ে ছিল, কয়েক দিন হল তারা অন্য গাঁয়ে উঠে গেছে, সেই বাড়ীটা সে দেখিয়ে দিল।

 বাড়ী দেখে স্ত্রীলোকটি খুব খুসী হয়ে বল্‌ল,—

 বাড়ীটা পেয়ে বড় খুসী হলুম, তুমি সুখে থাক বাছা।

 মে। তোমার নামটি কি?

 স্ত্রী। আমাকে তোমরা “খুসী” বলেই ডেক।

 মে। বাঃ!বেশ তো নামটি, আমাদের সঙ্গে বেশ মিশ খেয়ে যাবে।

 স্ত্রী। তোমাদের সঙ্গে মিশ খেয়ে গেলে, আমিও খুসী হবো।

 সেই লোকটাকে তার পরে আর সে পাড়ায় কেউ দেখেনি। একদিন ভোরের সময় দেখা গেল, ছেঁড়া চাদর পরা লোকটার শরীর গঙ্গার জলে ভাসছে। চাদরখানা তখনো তেমনি ভাবেই গায়ে জড়ান। দাঁড়িয়ে যারা দেখছিল, শ্মশানের একজন মুর্দ্দাফরাস তাদের বল্‌ল, মশায় আমি