ম। তীর্থ কি?
দৈ। কবির মনের রূপ যেমন কাব্য, ভক্ত সাধকের আত্মার রূপ তেমনি তীর্থ; কবি রচনা করে মানুষ পড়ে, সাধক মূর্ত্তি গড়ে মানুষ দেখে।
ম। কাব্য পড়লে কবির মনের রূপগুলো ধরা যায়; তীর্থ দেখলে সাধকের আত্মার রূপগুলো ধরা যায় কি?
দৈ। চর্চ্চা করলেই জানা যায়। কবি যেমন নিজের অনুভূতি গুলো কাগজের পাতায় কালির অক্ষরে গেঁথে রাখে, সাধক ও তেমনি সাধনায় পাওয়া নিজের আত্মার রূপগুলো কাঠ পাথরে খুদে রেখেছে। খোঁজ করলেই জানা যাবে তাদের আসল অর্থ কি।
ম। আচ্ছা মূর্ত্তিগুলির আকার ভিন্ন ভিন্ন কেন?
দৈ। সকল কবির অনুভূতি যেমন এক নয়, সকল সাধকের উপলব্ধি ও তেমনি এক নয়। এক এক কবির অনুভূতি এক এক রকম, এক এক সাধকের উপলব্ধিও এক এক রকমের।
ম। কবি তো নিজের কাব্যকে ইষ্টদেবতা বলে না সাধকরা মূর্ত্তিকে ইষ্টদেবতা বলে কেন?
দৈ। যে সত্যিকার কবি নিজের রচনাকে তার ইষ্ট দেবতার মত প্রিয় বলেই বোধ হয়। আত্মা সকলের চেয়ে ভালো, ভক্ত সাধক নিজের আত্মার রূপকে তাই ইষ্টদেবতা অর্থাৎ ‘আমার ভালো’ নাম দিয়েছে।