পাতা:দুনিয়ার দেনা - হেমলতা দেবী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কাপালিকের কপাল
৭৭

সেটা ভেদ করে সুন্দর বলে কোন কিছু আর ধরাই যায় না। দেখলেই মনে হয় বিশ্রী ও ভয়ঙ্কর।

 মধুমতী কখনো কাপালিক দেখেনি, বিস্মিত হয়ে সে দৈবপ্রভাকে জিজ্ঞাসা করল, “এ কে?"

 দৈ। “চুপ।"

 মড়ার আসন, মড়ার মাথার খুলিতে মদ মাংস প্রভৃতি শব সাধনার আর সব উপকরণ ছাড়া একটি দশ বার বছরের ছেলে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে দেখা গেল।

 আলতায় ছোপান লাল রঙের এক টুকরো কাপড় দিয়ে মুখখানি তার ঢাকা। ছেলেটি মরা কি জ্যান্ত বোঝা যায় না। যদি ও বেঁচে থাকে তবে অজ্ঞান হয়ে আছে বল্‌তেই হবে কেন না একেবারেই স্থির, একটুও নড়ছে না।

 মধুমতী ভাবল ছেলেটি মৃত, একেই দাহ করতে লোকটি এনে থাকবে, আগে চিতা জ্বলছে।

 দৈবপ্রভা জানে আসল ব্যাপারটা কি। কাপালিক সম্বন্ধে অনেক খবরই দৈবপ্রভা রাখে দেখা গেছে, কেন তা জানা যায় নি।

 চিতার আগুণ দপ্‌ দপ্‌ করে জ্বলছে। কাপালিক তার উপর মাটির হাঁড়িতে কি একটা সিদ্ধ করতে চাপিয়ে দিল। তার পর এটা ওটা যোগাড় করে মড়ার আসনে জপে বসল। জপের আরম্ভে মড়ার মাথার খুলিতে রাখা