হইল। সে চুরি কয়াছিল কিনা তাহার নিশ্চয় নাই; কিন্তু রাজ দণ্ড ভয়ে সে অত্যন্ত ভীত হইয়াছিল। কোন উপায় না দেখিয়া অন্যতম সভাসদ বাণেশ্বরের শরণ লইল। তিনি শরণাগত ব্রাহ্মণের রক্ষায় কৃত সঙ্কল্প হইয়া তাহাকে অভয় দিয়া বিদায় করলেন।
প্রত্যহই রাজসভায় গিয়া থাকেন। এক দিন সৈনিক পুরুষেরা চৌর্য্যাপরাধী হরকে রাজ সম্মুখে উপস্থিত করিয়া বিচার প্রার্থনা করিল। বিদ্যালঙ্কার যেন কিছুই জানেননা এইরূপ ভাণ করিয়া উপস্থিত ঘটনার সবিশেষ বৃত্তান্তু সভ্য গণকে জিজ্ঞাসা করিলেন। সভ্যগণ উত্তর দিলেন। তিনি মুদিত নেত্রে রাজাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “মহারাজ! আমার বোধ হইতেছে এ নির্দ্দোষী, যে ব্যক্তি কিরীট চুরি করিয়াছে আমি যেন জানিতে পারিয়াছি, শ্রবণ করুন।” বলিয়া নিম্ন লিখিত কবিতাটী আবৃত্তি করলেন;—
“জলে লবণবল্লীনং মানসং তম্মনোহরম্।
মনোজিহীর্ষয়া দেব্যাঃ কিরীটং হুরতে হরঃ॥”
লবণ জলে যেরূপ লীন হয়, মনোহর কিরীটে দেবীর মন সেইরূপে লীন হইয়াছিল। দেবীর মনোহরণাভিলাষী শূলপাণি দেখিলেন, তাঁহার মন কিরীটেতে লগ্ন হইয়া আছে। অতএব তিনি কিরীট শুদ্ধই অপহরণ করিয়াছেন। পরম ভক্ত কৃষ্ণ চন্দ্র, কবিবরের মুখ হইতে এই