প্রথমে আরাধনা প্রবর্জিত হয়, তখন “তিনি’ শব্দেই আরাধনা হইত। এখনও : , ব্ৰাহ্মসমাজের এক বিভাগে আরাধষায় সেই তিনি’ শব্দই প্রচলিত রহিয়াছে। । , বুদ্ধি। যদি শ্রুতির অনুসারে আরাধনা করিতে হয় তাহা হইলে তিনিতে । ख्। করাইতো ঠিক বিবেক । দেখ বুদ্ধি, উপনিষদে “তুমি’ নাই, কিন্তু পুরাণে তন্ত্রে ‘তুমি’ । “তুমি’ শব্দ উচ্চারণ করেন। । , - বুদ্ধি। যখন শ্রুতিতে তিনি আছে, তখন আরাধনা “তিনি’ শব্দে হউক, = স্তোত্রে ‘তুমি’ শব্দ আছে, স্তোত্ৰ তুমি’ শব্দে হউক । , বিবেক । তুমি তো এইরূপ বিভাগ করিয়া দিলে, কিন্তু যে সাধকের পরোক্ষ জ্ঞান চলিয়া গিয়া অপরোক্ষ জ্ঞান উপস্থিত, তিনি সাক্ষাৎসম্বন্ধে ব্ৰহ্মকে দেখিয়া । অসাক্ষাৎসম্বন্ধের তিনি বলেন কি প্রকারে ? তিনি পারেন না বলিয়াই স্বরূপ-- দোতক শ্রুতিগুলিতে ‘অং' শব্দ উহা করিয়া লইয়াছেন-যেমন সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্ৰহ্ম-ত্বম ; আনন্দ রূপমমৃতং বদ্ধি ভাতি,-তৎ ত্বন ; শান্তং শিবমদ্বৈতং - ত্বম ; শুদ্ধমপাপবিদ্ধং-ত্বম ; [ রসোবৈ সঃ-ত্বম ] | | সাধকের যখন অপরোক্ষ জ্ঞান জন্মিয়াছে, তখন যেমন সকল শ্রুতি। ‘অঙ্গমে’ পর্যাবসন্ন হয়, " তেমনি বৰ্ত্তমান । অপরোক্ষ জ্ঞানপন্ন সাধকের নিকট শ্রুতিসকল 'श्' श्र वैश्विन श्टे व डांशष्ऊ আর ক্ষতি কি ? . ; বুদ্ধি। তুমি কি কতকগুলা কথা বলিলে, কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। : সোজা করিয়া বলিলেই হয়, অত সংস্কৃতে প্রয়োজন কি ? বিবেক। শ্রুতির বিচার তুলিলে সংস্কৃতের ফোঁকড়া তুলিতেই হয়। তুমি । না বুঝিলে, অন্যে সংস্কৃতের ফোঁকড়া না তুলিলে বুঝিবেন কেন ? ঐ কথাগুলি । সোজা কথায় বলিতে গেলে এই বলিতে হয় যে, উপনিষদের চরম সাধনে সাধক ৷ ব্ৰহ্মের সহিত এক হুইয়া বান, তখন যে ব্ৰহ্ম 'তিনি ছিলেন, তিনি “আমি” হইয়া যান অর্থাৎ আত্মার সহিত अउिन्न হইয়া “আমি” শব্দে উল্লিখিত श्न । 42 का ब्रएन সেকালের উপদেষ্টারা ‘আমাকে যে পূজা করে’ ইত্যাদি বাক্যে শিষ্যবৰ্গকে উপদেশ করিয়াছেন। এরূপ করার তাৎপৰ্য্য এই যে, উপদেশকালে উপদেষ্ট ব্ৰহ্ম সহ অভিন্ন হহারা গিয়াছেন, ব্রহ্মই “আমি” “আমি” বুলিতেছেন। যেমন ব্ৰহ্ম
পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব (প্রথম খন্ড) - গৌরগোবিন্দ রায়.pdf/১৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।