পাতা:ধর্ম্মপুস্তক অর্থাৎ পুরাতন ও নূতন ধর্ম্মনিয়ম সম্বন্ধীয় গ্রন্থসমূহ.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ অধ্যায় } শেথের নয় শত বারো বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল।

  • ইনোশ নব্বই বৎসর বয়সে কৈননের জন্ম দিল। ** কৈননের জন্মের পর ইনোশ আট শত পোনের বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল। ** সৰ্ব্বশুদ্ধ ইনোশের নয় শত পাঁচ বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল।
    • কৈনন সত্তর বৎসর বয়সে মহললেলের জন্ম দিল। ** মহললেলের জন্মের পর কৈনন আট শত চল্লিশ বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল । ** সৰ্ব্বশুদ্ধ কৈননের নয় শত দশ বৎসর বয়স হইলে তাহীর মৃত্যু হইল।
    • মহললেল পয়ষট্টি বৎসর বয়সে যেরদের জন্ম দিল । * যেরদের জন্মের পর মহললেল আট শত ত্রিশ বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল। ** সৰ্ব্বশুদ্ধ মহললেলের আট শত পচানব্বই বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল।
    • যেরদ এক শত বাষট্টি বৎসর বয়সে হনোকের জন্ম দিল। ** হনোকের জন্মের পর যেরদ আট শত বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল । * ° সৰ্ব্বশুদ্ধ যেরদের নয় শত বাষট্টি বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল।
    • হনোক পয়ষট্টি বৎসর বয়সে মিথুশেলহের জন্ম দিল। ২২ মিথুশেলহের জন্মের পর হনোক তিন শত বৎসর পর্যন্ত ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিল, এবং আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল। ২৩ সৰ্ব্বশুদ্ধ হনোক তিন শত পয়ষট্টি বৎসর পর্যন্ত জীবৎ থাকিয়া ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিল। ** পরে সে অন্তহিত হইল, কেননা ঈশ্বর তাহাকে লইয়া গেলেন।

২• মিথুশেলহ এক শত সাতাশী বৎসর বয়সে লেমকের জন্ম দিল । * ° লেমকের জন্মের পর মিথুশেলহ সাত শত বিরাশী বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল। ** সৰ্ব্বশুদ্ধ মিথুশেলহের নয় শত উনসত্ত্বরি বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল। ২৮ লেমক এক শত বিরাশী বৎসর বয়সে পুত্রের জন্ম দিয়া তাহার নাম নোহ (বিশ্রাম ) রাখিল ; ২° কেননা সে কহিল, পরমেশ্বর কর্তৃক অভিশপ্ত ভূমিতে আমাদের যে শ্রম ও হস্তের ক্লেশ তদ্বিষয়ে এ আমাদের সান্তুনা জন্মাইবে। ৩° নোহের জন্মের পর লেমক পাচ শত পচানব্বই বৎসর জীবৎ থাকিয়া আরো সন্তান সন্ততির জন্ম দিল। ** সৰ্ব্বশুদ্ধ লেমকের সাত শত সাতান্তর বৎসর বয়স হইলে তাহার মৃত্যু হইল। ** পরে নোহ পাঁচ শত বৎসর বয়সে শাম ও হাম ও যেফৎ নামে তিন পুত্রের জন্ম দিল। আদিপুস্তক। ৬ অধ্যায়।

  • यदिfहउ दिदicश्द्र कथा, ० ७ नमूदशग्न पूछेउ

প্রযুক্ত প্লাবনের কথা, ৯ ও নোহের বংশাবলি, ১৪ ও জাহাজ নির্মাণুের কথা । - • এই রূপে যখন পৃথিবীতে মনুষ্যের বৃদ্ধি হইতে লাগিল ও অনেক ২ কন্যা জন্মিল, ই তখন ঈশ্বরের পুত্রের মনুষ্যদের কন্যাগণকে পরম সুন্দরী দেখিয়া যাহার যাহাকে ইচ্ছা সে তাঁহাকে বিবাহ করিতে লাগিল। * অতএব পরমেশ্বর কহিলেন, আমার আত্মা মনুষ্যের মধ্যে সৰ্ব্বদা অধিষ্ঠান করিবেন না, কেননা তাহারা পাপিষ্ঠ ও মাৎসপিগুমাত্র ; তাহাদের সময়ের পরিমাণ এক শত বিংশতি বৎসর হইবে। * তৎকালে পৃথিবীতে মহাবীর ছিল, এব^ মনুষ্যদের কন্যাগণেতে ঈশ্বরের পুত্ৰগণ উপগত হইলে পরে তাহাদের গৰ্বে যে ২ সন্তান জন্মিল, তাহারাই পূৰ্ব্বকালের প্রসিদ্ধ বীর। -

  • অপর পরমেশ্বর দেখিলেন, পৃথিবীতে মনুষ্যের দুষ্টতা বড়, এবং তাহার অন্তঃকরণের তাবৎ কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ। অতএব পরমে

শ্বর পৃথিবীতে মনুষ্যের সৃষ্টি করণ প্রযুক্ত অনু তাপ করিয়া মনঃপীড়া পাইয়া কহিলেন, আমি ভূমণ্ডলহইতে আপনার সৃষ্ট মনুষ্যকে উচ্ছিন্ন করিব, এবং মনুষ্যের সহিত পশু ও কীট ও খেচর পক্ষিগণকেও লোপ করিব ; কেননা তাহাদের সৃষ্টি করণ প্রযুক্ত আমার অনুতাপ হইতেছে। ৮ কিন্তু নোহ পরমেশ্বরের অনুগ্রহপাত্র হইল।

  • নোহের বংশাবলির বিবরণ । ঐ নোহ তাৎকালিক লোকদের মধ্যে ধাৰ্মিক ও সাধু লোক ছিল, এবং ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিত। ** এবং শাম ও হাম ও যেফৎ নামে তাহার তিন পুত্র ছিল । * তৎকালে পৃথিবী ঈশ্বরের সাক্ষাতে ভুষ্ট এবং দৌরাত্ম্যে পূরিপূর্ণ ছিল। ১২ অতএব ঈশ্বর পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, সে ভুষ্ট হইয়াছে, কেননা পৃথিবীস্থ তাবৎ প্রাণী ভূষ্টাচারী হইয়াছে। * তখন ঈশ্বর নোহকে কহিলেন, আমার গোচরে সকল প্রাণির অন্তিম কাল উপস্থিত, কেননা তাঁহাদের দ্বারা পৃথিবী দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ হইয়াছে; অতএব দেখ, আমি পুথিবীর সহিত তাহাদিগকে বিনাশ করিব।
  • তুমি গোফর কাষ্ঠীদ্বারা এক জাহাজ নির্মাণ কর ; এবং তাহার মধ্যে কুঠরী নির্মাণ করিয়া তাহার ভিতরে বাহিরে ধুনা দিয়া লেপন কর। * সেই জাহাজের দীর্ঘতা তিন শত হস্ত, ও প্রস্ত পঞ্চাশ হস্ত, ও উচ্চতা ত্রিশ হন্ত ; এই প্রকারে তাহার নির্মাণ কর । ** এবং তাহার ছাতের এক হাত নীচে বাতায়ন প্রস্তুত করিয়া রাখ, ও

5