পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ > আবার পিপাসা সব ভূত হয়ে পথিবীর মাঠে,— অথবা গ্রহের পরে,–ছায়া হয়ে, ভূত হয়ে ভাসে — যেমন শীতের রাতে দেখা যায় জ্যোৎস্না ধোঁয়াটে, যাকাশে পাতার পরে দাঁড়ায়েছে উঠানের ঘাসে — যেমন হঠাৎ দটো কালো পাখা চাঁদের আকাশে অনেক গভীর রাতে চমকের মত মনে হয় ; কার পাখা ?—কোন পাখি ? পাখি সে কি! অথচ সে আসে — তখন অনেক রাতে কবরের মুখ কথা কয়!— ঘনমন্ত তখন ঘমে, জাগিতে হতেছে যার, সে জাগিয়া রয় ! V) ર বনের পাতার মত কুয়াশায় হলদি না হতে, হেমন্ত আসার আগে হিম হয়ে পড়ে গেছি ঝ’রে – তোমার বকের পরে মুখ আমি চেয়েছি লকোতে ; তোমার, দুইটি চোখ প্রিয়ার চোখের মত করে দেখিতে চেয়েছি, মৃত্যু-পথ থেকে ঢের দরে সরে প্রেমের মতন হয়ে!—তুমি হবে শান্তির মতন !— তারপর সরে যাব,--তারপর তুমি যাবে মরে,— অধীর বাতাস লয়ে কাঁপকে না পৃথিবীর বন — মৃত্যুর মতন তব রুজে যাক,—ঘমাক মৃত্যুর মত মন! W)○ নিজন পাতার মত,--আলেয়ার বাপের মতন, ক্ষীণ বিদ্যতের মত ছোড়া মেঘে আকাশের ধারে, আলোর মাছির মত--রনের সবনের মত মন একবাব ছিল ঐ পৃথিবীর সমুদ্রে পাহাড়ে, — ঢেউ ভেঙে ঝ’রে যায়—মরে যায়,-কে ফেরাতে পারে! তবুও ইশারা করে ফালগুন-রাতের গন্ধে বয়ে মত্বাবেও তার সেই কবরের গহবরে অাঁধারে জীবন ডাকিতে আসে ;—হয় নাই—গিয়েছে যা হয়ে— মৃত্যুরেও ডাক তুমি সেই সমতি আকাঙ্ক্ষার অস্থিরতা লয়ে!