পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

 শুনিয়া পিসীমা বলিলেন, “সে কি? ও পাড়ার মিত্ররা আমাদের আশায় আর কোথাও মেয়ের সম্বন্ধ করিল না, সর্ব্বদা আমাদের সংবাদ লয়। এখন কি হইবে?”

 শিবচন্দ্র বলিলেন, “আমি বরাবরই বলিয়া আসিতেছি, তুমি আর নবীন আদর দিয়া ছোঁড়াটার মাথা খাইলে; দেখ দেখি,এখন কি করা যায়? কে কৃষ্ণনাথ? তাহাকে চিনি না; কেমন বংশ, কেমন ঘর, কিছুই জানা নাই।”

 পিসীমা আর উত্তর করিতে পারিলেন না।

 পত্র পাঠ করিয়া নবীনচন্দ্রও অত্যন্ত বিস্মিত হইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি দেখিলেন, শিবচন্দ্র পুত্রের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়াছেন; তিনি প্রভাতকে নির্দ্দোষ প্রমাণ করিবার উদ্দেশ্যে বলিলেন, লিখিয়াছে আর এক জন। ইহাতে প্রভাতের দোষ কি? সে ত কিছু লিখে নাই!”

 শিবচন্দ্র বলিলেন, “সে না জানিলে এ প্রস্তাব হইল কিরূপে? তাহারা কেমন করিয়া জানিল যে, তাহার ঘর করণীয়, সে অকৃতদার? কত ছেলেই ত কলিকাতায় পড়ে, কে তাহাদের বিবাহের সম্বন্ধ করে?”

 “সে সব কিছুই ত এখন জানা যাইতেছে না। সন্ধান লইতে হইবে। হয় ত হরিহরই সম্বন্ধ করিতেছে।”

 কত ছেলে কলিকাতায় পড়ে, কেহ তাহাদের বিবাহের সম্বন্ধ করে না—এ কথাটা শিবচন্দ্র পুত্ত্রকে বিশেষরূপে অপরাধী প্রতিপন্ন করিবার জন্যই বলিয়াছিলেন। কিন্তু শত ছেলের যাহা

৪৯