পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ ৷

হয় না, প্রভাতের তাহাই হইয়াছে,—ইহাতে পিসীমা শত ছেলের অপেক্ষা প্রভাতের শ্রেষ্ঠত্বই স্পষ্ট অনুভব করিলেন। তিনি বলিলেন, “সত্যই ত, এখনও ত কিছুই জানা যাইতেছে না!”

 শিবচন্দ্র বলিলেন, “ইহার আবার জানাজানি কি? আমি লিখিয়া দিতেছি, আমি কলিকাতার বড়মানুষের সঙ্গে কুটুম্বিতা করিব না।”

 নবীনচন্দ্র বলিলেন, “মুখ্য কুলীন, বিশেষ হরিহর কুটুম্ব, একটা প্রস্তাব করিয়াছে, অমন ভাবে উত্তর দেওয়া কি ভাল হইবে?”

 “তবে কি করিবে? না জানিয়া শুনিয়া সেখানে কায করিবে?”

 “আমি তাহা বলিতেছি না। যদি ঘর করণীয় হয়—সম্বন্ধ আমাদের বাঞ্ছনীয় হয়, তবেই কায করিব; নহিলে নহে। আমাদের ছেলে—মেয়ে নহে। সম্বন্ধ অনভিপ্রেত বোধ হয়, একটা কোনও কারণ বলিয়া জবাব দিলেই হইবে।”

 “তবে চল; সেই পরামর্শ করি।”

 “চলুন। আমি যাইতেছি।”

 শিবচন্দ্র অগ্রসর হইলেন।

 পিসীমা বলিলেন, “নবীন, কি বল দেখি?”

 বড়বধূ ঠাকুরাণী আমিষ—পাকশালার দ্বারান্তরালে ছিলেন, এখন বাহির হইয়া ননন্দার নিকটে দাঁড়াইলেন।

 নবীনচন্দ্র বলিলেন, “দাদা যাহা বলিয়াছেন, তাহা সত্য। তাহারা সন্ধান পাইল কেমন করিয়া?”

৫০