পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্য-জীবন
২৫

প্রভুর পদবী ‘হ্যাবরে’ থাকিলে, তাঁহার দাসেরা ‘হ্যাবারের জন’ বা ‘জন হ্যাবার’ ইত্যাদি নামে অভিহিত হইত। ‘জন’ ত হ্যাবারের সম্পত্তি বিশেষ। হ্যাবারের কুকুর বলিলে কুকুরে হ্যাবারে যেরূপ সম্বন্ধ বুঝায় এবং কুকুরকে যেরূপ সহজে চিনিয়া লওয়া যায়, ‘হ্যাবারের সুসান’ এই নামেও সুসানের সঙ্গে হ্যাবারের সেইরূপ সম্বন্ধই বুঝাইত এবং সেইরূপ সহজেই দাস মহল হইতে সুসান গোলামকে চিনিয়া লওয়া যাইত। বলা বাহুল্য এরূপ নামকরণে স্বাধীনতার গন্ধ মাত্র নাই—ব্যক্তি একটি নির্জ্জীব পদার্থ স্বরূপ, কেনা গোলাম মাত্র। প্রভু যেন তাহার কপালে একটা দাগ দিয়া নিজ সম্পত্তির হিসাব ও চিহ্ন রাখিয়াছেন মাত্র।

 সুতরাং পুরাতন নাম বর্জ্জন এবং নূতন নাম গ্রহণই স্বাধীন নিগ্রোর সর্ব্ব প্রধান কর্ত্তব্য নির্দ্ধারিত হইল। প্রভুদের নাম নিজ নিজ নাম হইতে তুলিয়া দেওয়া হইল। তাহার পরিবর্ত্তে কেহ ‘জন এস্‌লিঙ্কল্‌ন’ কেহ ‘জন এস্ শার্ম্মান’ ইত্যাদি নাম গ্রহণ করিতে লাগিল। মধ্যস্থলের ‘এস্’ শব্দের কোন অর্থই থাকিত না। তিন শব্দের নাম রাখিতেই হইবে—সুতরাং প্রথম শব্দে প্রকৃত নাম, তৃতীয় শব্দে উপাধি বা পদবী, দ্বিতীয় শব্দে যা হয় কিছু বুঝান হইত।

 তাহার পর গোলামাবাদ ছাড়িয়া সকলেই কিছু দিনের জন্য এদিক ওদিক ঘুরিতে ফিরিতে লাগিল। পরে কেহ কেহ ফিরিয়া জাসিয়া পুরাতন মনিবের সঙ্গে স্বাধীনভাবে কারবার করিবার