পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

জন্য নূতন নূতন চুক্তি বা বন্দোবস্ত করিয়া লইল। বাস্তুভিটা পরিত্যাগ করা কঠিন। যাহারা এইরূপে পুরাতন মনিবের সঙ্গেই বসতি করিতে চাহিল, তাহাদের মধ্যে বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশী।

 পূর্ব্বেই বলিয়াছি আমি আমার জনককে কখনও দেখি নাই। আমার মাতার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ছিলেন। তাঁহাকেও বড় বেশী দেখি নাই। আমরা যে মনিবের গোলাম ছিলাম তিনি সেই মনিবেরই গোলাম ছিলেন না। তাঁহার গোলামীর কর্ম্মক্ষেত্র কিছু দূরে ছিল। স্বাধীনতা পাইবার পূর্ব্বেই তিনি পলাইয়া একটা নবগঠিত প্রদেশে আশ্রয় লইয়াছিলেন। প্রদেশের নাম ওয়েষ্ট ভার্জ্জিনিয়া। সেই সময়ে লড়াই চলিতেছিল—এজন্য তাঁহার পলায়নের বিশেষ বিঘ্ন ঘটে নাই। যখন সকল দাসেরই স্বাধীনতা ঘোষিত হইল, তিনি আমার মাতাকে আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া তাঁহার নূতন বাসভবনে আসিতে আদেশ করিলেন। ভার্জ্জিনিয়া প্রদেশে যাইতে হইলে পার্ব্বত্য প্রদেশ পার হইয়া যাইতে হয়। দূরও বড় কম নয়—প্রায় ৭০০। ৮০০ মাইল। আমাদের জামা কাপড় ইত্যাদি কিছুই ছিল না। যাহা হউক গরুর গাড়ীতে চড়িয়া আমরা সকলে যাত্রা করিলাম। অবশ্য বেশী পথ হাঁটিয়াই চলিয়াছিলাম।

 আমরা পূর্ব্বে কোনদিনই এক প্রদেশ ছাড়িয়া অন্য প্রদেশে যাই নাই। এমন কি, গোলামাবাদ ছাড়িয়া বেশী দূর যাইবার অবসর বা কারণও কখন উপস্থিত হয় নাই। এইবার কাজেই আমাদের বিদেশযাত্রার সমারোহ মনে হইয়াছিল! পুরাতন