পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্য-জীবন
২৯

১৮ এই চিহ্ন লিখিয়। যাইত। আমি আর কোন চিহ্ন চিনিতাম না। অনবরত দেখিতে দেখিতে ১৮ চিহ্নটি আমার সুপরিচিত হইয়া গেল।

 আমার প্রথম হইতেই লেখা পড়া শিখিবার বড় সাধ ছিল। শৈশবেই আমি সঙ্কল্প করিয়াছিলাম যে জীবনে যদি আর কিছুই না করিতে পারি অন্ততঃ যেন কিছু বিদ্যালাভ করিয়া মরিতে পারি। আর কখনও যদি আমি লেখাপড়া শিখি তাহা হইলে অন্ততঃ সাধারণ খবরের কাগজ এবং সাদাসিধা পুস্তকাবলী পড়িয়া বুঝিতে পারিলেই কৃতার্থ হইব। এখানে আসিবার পর আমার মাতাকে অনুরোধ করিয়া একখানা পুস্তক আনাইয়া লইলাম। ওয়েব্‌স্টারের ‘বর্ণ-পরিচয়’ বই আমার হস্তগত হইল। আমি অতি মনোযোগ সহকারে পড়িতে লাগিলাম। কোন শিক্ষকেরই সাহায্য পাই নাই। যাহা হউক, যেন তেন প্রকারেণ অক্ষরগুলি চিনিয়া ফেলিলাম। আমার মাতাই আমার এই প্রাথমিক শিক্ষালাভের চেষ্টায় একমাত্র সহায় ছিলেন। তাঁহার পুঁথিগত বিদ্যা কিছুই ছিল না সত্য—কিন্তু তাঁহার সাংসারিক জ্ঞান, অবস্থা বুঝিয়া ব্যবস্থা করিবার ক্ষমতা, সৎসাহস, দৃঢ় সঙ্কল্প, উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি অশেষ গুণ ছিল। কাজেই আমার উচ্চ অভিলাষে তিনি যথেষ্টই সাহায্য করিতে পারিয়াছিলেন। তাঁহার নিকট উৎসাহ না পাইলে আমার জীবনের গতি হয়ত অন্যরূপ হইত।

 ইতিমধ্যে একটি নিগ্রো বালক ম্যাল্‌ডেনে আসিল। সে ওহায়ো প্রদেশের কোন বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শিখিত। তাহাকে