পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

পাইয়া আমার নিগ্রো স্বজাতিরা যেন চাঁদ হাতে পাইল। তাহার আদর দেখে কে? প্রতিদিন সন্ধ্যাকালে কাজ-কর্ম্ম সারিয়া আমাদের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলে মিলিয়া তাহাকে ঘিরিয়া বসিতাম। সে একটা খবরের কাগজ পড়িয়া আমাদিগকে শুনাইত ও বুঝাইয়া দিত। সে আমাদের পাড়ার গুরু মহাশয় হইয়া পড়িল। তাহার এই সম্মান ও ক্ষমতা দেখিয়া আমি সত্যসত্যই তাহাকে হিংসা করিতাম। মনে হইত তাহার সমান বিদ্যার অধিকারী হইতে পারিলে আমি আর কিছু চাহি না।

 ক্রমশঃ আমাদের পল্লীতে নিগ্রোদের জন্য একটা পাঠশালা খুলিবার প্রস্তাব চলিতে লাগিল। মহা ধূমধাম আরম্ভ হইল। কৃষ্ণকায়-সমাজে একটা বিদ্যালয়ের কথা এ অঞ্চলে আর পূর্ব্বে কখনও উঠে নাই। সর্ব্বত্রই আন্দোলন পৌঁছিল। প্রধান সমস্যা হইল—শিক্ষক পাওয়া যায় কোথায়? ওহায়োর সেই বালকের নামই সকলের মুখে মুখে রহিয়াছে। কিন্তু সে যে নিতান্তই চ্যাংড়া। যাহা হউক, ওহায়ো হইতে আর একজন শিক্ষিত যুবক ম্যাল্‌ডেন নগরে হঠাৎ আসিয়া দেখা দিল। তাহার বয়স সম্বন্ধে কোন আপত্তি হইল না। সে কিছুকাল সেনাবিভাগেও কাজ করিয়াছে। সুতরাং তাহাকেই শিক্ষকপদে নিযুক্ত করা হইল।

 পাঠশালার খরচ চালাইবার জন্য নিগ্রোরা সকলেই মাসিক কিছু কিছু চাঁদা দিতে স্বীকৃত হইল। শিক্ষকের বেতন জোগান কঠিন। কাজেই বন্দোবস্ত হইল যে, সে প্রত্যেক পরিবারে