পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্য-জীবন
৪৩

আব্-হাওয়া দুঃখ-দারিদ্র্যপূর্ণ, নিগ্রোর পক্ষে বিশ্বশক্তি একটা প্রকাণ্ড সয়তান, নিগ্রোর সংসার হতাশ্বাসের লীলানিকেতন। আমি বলি মনুষ্যত্ব-বিকাশের পক্ষে, প্রকৃত জীবনগঠনের পক্ষে এই অবস্থাই অতি হিতকর। কারণ, কষ্টই মানুষের পরীক্ষক, কষ্টই মানুষের বিচারক।

 এই কষ্টের জগতে যাহাকে বাস করিতে হয় তাহারই সর্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পরীক্ষা হইয়া থাকে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেই যথার্থ মানুষ হওয়া যায়। তাই বলিতেছিলাম, আমি শ্বেতাঙ্গকে আজকাল হিংসা করি না—নিগ্রো জীবনই আমার শ্রেয়ঃ।

 শ্বেতাঙ্গের কার্য্য উচ্চ অঙ্গের না হইলেও তাহার দোষ বেশী লোক ধরে না। কিন্তু নিগ্রোর কর্ম্মে যদি সামান্যমাত্র ত্রুটিও থাকে তবে তাহার জন্যই সমস্ত পচিয়া যায়। কাজেই নিগ্রো সর্ব্বদা অগ্নি-পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকিতে বাধ্য। খুব ভাল করিয়া না খাটিলে তাহার কাজ বাজারে মনোনীত হইবে না। ইহা কি তাহার উন্নতির পক্ষে কম সুযোগ? কিন্তু শ্বেতাঙ্গের “সাত খুন মাপ।” ফলতঃ তাহার তত বেশী পরিশ্রমী এবং সহিষ্ণু না হইলেও চলে।

 অমি নিগ্রোই থাকিতে চাই। দুঃখের সংসারই আমার শিক্ষালয় থাকুক—জগতের সর্ব্বাপেক্ষা কঠোর সাধনাই আমার জীবনের ব্রত হউক।

 আজকাল নিগ্রোজাতির অনেকেই রাষ্ট্রীয় অধিকারের দাবী