পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ । br:న জনিত নরক মস্তকে ধারণ পূর্বক আমি হবিষ্য করিৰ ন', উপবাসী থাকিব ” । তাহাতে জননী নবীনের মুখ চুম্বন করিয়া কহিলেন “ বাব আমি রাজমহিষী ছিলেম, রাজমাত। হলেম, আমার মনে কিছু খেদ থাকিত না, যদি মরণ কালে ষ্ঠার চরণ একবার মস্তকে ধারণ করিতে পারি তাম ; এমন পুণ্যাক্সার অপমৃত্যু হইল, এই কারণে আমি উপবাস করিতেছি । দুঃখিনীর ধন তোমরা, তোমার এবং বিন্দুমাধবের মুখ চেয়ে ভ্যামি অদ্য পুরোহিত ঠাকুরের প্রসাদ গ্রহণ করিব, তুমি আমার সম্মুখে চক্ষের জল ফেল না , বলিয়। নবীনকে পঞ্চম বর্ষের শিশুর ন্যায় ক্রে (ড়ে ধারণ করিলেন § (নেপথ্যে বিলাপসুচক ধ্বনি) আসিতেছেন । । (সাবিত্রী, মৈরিন্ধী, সরলতা, আদুী, রেবতী, নবীনের খুড়ী এবং অন্যান্য প্রতিবাসিনীর প্রবেশ ) ভয় নাই, জীবিত আছেন— সাবিত্রী । ( নৰীনের মৃতবহু শরীর দর্শন করিয়া ) নবীনমাধব । বাবা অামার, বাবা অামার, বাৰা অামার, কোথায়, কোথায়, কোথায়, উহুহু!— (মূচ্ছি ত হইয়া পতন ) সৈরি । [ রোদন করিতে করিতে ] ছোট ৰউ ! তুমি ঠাকুরুণকে ধর, আমি প্রাণকান্তকে একবার প্রাণ ভর্যে দশন করি [ নবীনমাধবের মুখের নিকট উপবিষ্ট। ] পুরো । [ সৈরিন্ধীর প্রতি ] মা ! তুমি পতিব্র তা সাধ্যসতী, তোমার শরীর সুলক্ষণে মণ্ডিত, পতিরত। সুলক্ষণ ভাৰ্য্যার, ভাগ্যে মৃত পতিও জীবিত হয় ; চক্ষু নাড়িতেছেন, নিৰ্ভয়ে সেবা কর। সাধু ! কত্রী ঠাকুরাণীর জ্ঞান সঞ্চার হওয়া পর্যন্ত তুমি এখানে থাক । (쓰 )

  • { २२ ]