পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ ! ఫిసి সাধু। ক্ষেত্রমণি ! ক্ষেত্রমণি ! ভাল করে চেয়ে দেখ না মা ! ক্ষেত্র । খোস্তা,কুডুল, মা ! বাবা ! অ’ ! (পাশ্ব পরিবর্তন)। রেবতী । মুই কোলে তুলে নেই, মার বাছা মার কোলে ভাল থাকৃবে । [ অঙ্কে উত্তোলন করিতে উদ্যত । সাধু । কোলে তুলিস্নে, টাল যাবে। রেবতী । এমন পোড়া কুপাল করিলাম্‌! আহ, হ ! হারাণ যে মোর মউর চড কাত্তিক, মুই হারাণের রূপ ভোল্বে ক্যামন করি, বাপো ! বাপো ! বাপে। সাধু ! রেয়ে ছোড ককন গিয়েচে, এ্যাকনও এলো না । রেবতী। বড বাবু মোরে বাগের মুক থেকে ফিরে এনে দিয়েলে । আঁটকুড়ির ব্যাটা এমন কিলও মেরিলি, বাছার প্যাট খসে গ্যাল, তার পর বাছারে নিয়ে টানাটানি । তাহা । হ। দেউত্র হয়েলো, রক্তোর দল, তবু সব গড়ন দেখা দি য়েলো ; লাঙ্গুল গুলো পৰ্য্যন্ত হয়েলো । ছোট সাহেব মোর ক্ষেত্ররে খালে, বড় সাহেব বড় বাবুরি খালে । আহা ! হ ! কাঙ্গালেরে কেউ রক্কে করে না । সাধু । এমন কি পুণ্যি করিচি যে দেউত্রের মুখ দর্শন করিব । ক্ষেত্র । গা কেটে গ্যাল—মাজা-ট্যাংরামাচ হু-হু-হু— রেবতী । নর্মীর আত্ বুঝি পুয়াল, মোর সোণার পিত্তিমে জলে যায় মোর উপায় হবে কি ! মোরে মা বল্যে ডাক্‌বা কেডা ! ই কত্তি নিয়ে এইলে – [ সাধুর গলা ধরিয়া ক্ৰন্দন ] সাধু। চুপ্‌ কর, এখন কাদিস, নে, টাল যাবে। ( রাইচরণ এবং কবিরাজের প্রবেশ )