পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৯৭

গমন করিবেন। কিন্তু বহু চেষ্টায়ও তাহাতে বিশেষ কোন ফলোদয় হইল না। মস্কৌএর দূতকে যেন এ বিষয়ে অনেকটা উদাসীন দেখা গেল!

 অবশেষে ইটালীয় রাজদূতকেও সমস্ত ব্যাপার জানানো হইল এবং তাঁহাদের দেশে যাইবার জন্য পাসপোর্ট বা অনুমতি প্রার্থনা করা হইল। ইটালীর রাজদূত সীনর ক্যারণী ও তাঁহার পত্নী সীনরা কারণী, এ বিষয়ে সুভাষচন্দ্রকে ব্যক্তিগত ভাবেও যে শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখাইয়াছেন, এবং রোম হইতে তাঁহার পাসপোর্ট মঞ্জুর করাইবার জন্য যে অসাধারণ পরিশ্রম করিয়াছিলেন, তাহা সত্যই অতুলনীয়।

 কিন্তু সুদীর্ঘ কাল চেষ্টার ফলেও যখন পাসপোর্ট মঞ্জুর হইয়া আসিল না, তখন সুভাষচন্দ্র অস্থির হইয়া পড়িলেন; তাঁহার আশ্রয়দাতা উত্তমচাঁদও তখন অন্য পন্থা চিন্তা করিতে লাগিলেন।

 উত্তমচাঁদ সীমান্ত-প্রদেশের অধিবাসী এমন এক ব্যক্তিকে জানিতেন, যে অর্থের জন্য পারিত না এমন কোন অসাধ্য কর্ম্মই ছিল না। অথচ লোকটিকে তিনি বিশ্বাসী বলিয়াই মনে করিতেন। তিনি ভাবলেন, ঐ লোকটির সাহায্যে কি বোস্ বাবুকে রাশিয়ায় পাঠানো চলে না?

 সে নাকি বহুবার পাসপোর্ট ব্যতীতই রাশিয়ায় গিয়াছে। আফগানিস্থান পার হইয়া কিছুদূর অতিক্রম করিলে ‘হ্যাঙ্গো’ নামে এক নদী আছে। সেই নদীর অপর তীরেই রাশিয়ার সীমান্ত।

 উত্তমচাঁদ তাহার সহিত ধীরে-ধীরে আলাপ করিলেন, অবশেষে কাজের কথা আরম্ভ হইল।