পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

তাহা যদি না দেওয়া হয়, তাহা হইলে তিনি তাঁহাদের টাকা চাহেন না।

 তাঁহারা বলিয়া পাঠাইলেন—যাহাকে খুশী তাহাকে লইয়া নেতাজী তাঁহাদের মন্দিরে যাইতে পারেন। কোন রকম আপত্তি করিবেন না।

 সেদিন নেতাজীর সঙ্গে মুসলমান, হিন্দু, খৃষ্টান, শিখ সব জাতীয় অফিসার ও সৈনিক—চেটিয়ার মন্দিরে প্রবেশ করছিল। সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে ইহা তিনি প্রথম প্রবর্ত্তন করেন। তাহার আগে সে মন্দির হিন্দু ছাড়া কেহ ঢুকে নাই এবং ব্রাহ্মণ ছাড়া কেহ মন্দিরের ভিতর যাইতে পারে নাই। শুধু তাহাই নহে—মন্দিরের পূজারী ব্রাহ্মণ আসিয়া সকলের কপালে বিভূতি আঁকিয়া দিয়াছিল মায় মুসলমান ও খৃষ্টান অফিসার পর্য্যন্ত।”

 সামরিক শিক্ষাদানের জন্য নয়টি কেন্দ্র ছিল, সিঙ্গাপুর এবং রেঙ্গুণে অফিসার-ট্রেণিংএর জন্য দুইটি কেন্দ্র ছিল; কোন কেন্দ্রেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্ন রকমের ব্যবস্থা প্রবর্ত্তন করা হয় নাই, শিক্ষার্থিগণই পালাক্রমে সে তার গ্রহণ করিয়াছিলেন; অফিসার ও এন্. মি. ও. গণ হিন্দুস্থানী ভাষায় শিক্ষাদান করিতেন। যুদ্ধে আদেশ-দানের রীতিও ছিল হিন্দুস্থানীতে। এক মাত্র মালয়েই ২০ হাজার বেসামরিক ব্যক্তিগণকে শিক্ষাদান করিয়া আজাদ-হিন্দ ফৌজের অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছিল। ইহা ছাড়া, বিভিন্ন অঞ্চল হইতে হাজারে-হাজারে শিক্ষার্থী শিক্ষালাভ করিতে আসিয়াছিল, ইহাদের অনেককেই আজাদ-হিন্দ ফৌজের অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে।

 আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের সমগ্র আন্দোলনে একমাত্র