পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১২৩

আক্রমণের সমস্ত সামরিক কার্য্য-কলাপ আজাদ-হিন্দ ফৌজের উপর ছাড়িয়া দেওয়া হইবে।

 আজাদ-হিন্দ ফৌজ পরিস্থিতি সম্যক্ বুঝিতে পারিলেন, তথাপি ইম্ফল দখলের যুদ্ধে তাঁহারাই প্রধান অংশ গ্রহণ করিতে মনস্থ করিলেন। ১৯৪৪ সালের ৪ঠা জানুয়ারী আজাদ-হিন্দ ফৌজ আক্রমণাত্মক কার্য্য শুরু করে, এবং ১৮ই মার্চ্চ তাঁহাদের বাহিনী ভারত-ব্রহ্ম সীমা অতিক্রম করিয়া ভারতভূমিতে পদার্পণ করে।

 এই বাহিনীতে প্রধানত তিনটি ব্রিগেড ছিল:—(১) কর্ণেল শা’ নওয়াজের নেতৃত্বে ৬২০০ সৈন্য লইয়া গঠিত ‘সুভাষ-ব্রিগেড’।

 (২) কর্ণেল ইনায়ৎ কয়ানির নেতৃত্বে ‘গান্ধী ব্রিগেড’; ইহার সৈন্য-সংখ্যা ২৮০০ জন।

 (৩) কর্ণেলমোহন সিং-এর নেতৃত্বে ‘আজাদ ব্রিগেড’, ইহাতে দুই নম্বর ব্রিগেডের সমান-সংখ্যক সৈন্য ছিল।

 ইহা ছাড়া, তিন শত বাহাদুর-দলের ফৌজ ছিল; সাত শত বেসামরিক সাহায্যকারীও ইহাদের সঙ্গে ছিলেন। কর্ণেল গুরুবক্স সিং ধীলনের নেতৃত্বে তিন হাজার সৈন্য লইয়া গঠিত ‘নেহেরু ব্রিগেড’—ইহাদের পিছনে ছিল।

 তাঁহার মোরাই, কোহিমা ও অন্যান্য স্থান দখল করিয়া ইম্ফলে উপস্থিত হন এবং ইম্ফল অবরোধ করেন। কিন্তু এই সময় ভীষণ বর্ষা আরম্ভ হইল এবং ইম্ফল আক্রমণ ও অধিকার অসম্ভব হইয়া দাঁড়াইল।