পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 সুভাষচন্দ্র যখন তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিতেন, তৎকালে ই. এফ্. ওটেন মহােদয় প্রেসিডেন্সী কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন[১] এবং এইচ্. আর. জেম্‌স্‌ ছিলেন প্রিন্সিপ্যাল। ই. এফ্. ওটেন মহােদয় পরে বাংলার ডিরেক্টর অফ্ পাবলিক ইন্‌স্ট্রাক্‌শন্‌স্‌-এর পদ অলঙ্কত করিয়াছিলেন।

  মিঃ ওটেন অনেক সময় ভারতীয় ছাত্রদের মনােবৃত্তি আহত করিতে কুণ্ঠিত হইতেন না। ইহাতে সুভাষচন্দ্র জীবনে প্রথম শাসকজাতির গর্ব্ব এবং ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইলেন এবং তাঁহার জীবনে এই প্রথম পুঁথিগত নীতি ও পুঁথিগত স্বদেশপ্রেম কর্ম্মক্ষেত্রে ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হইল; এবং যখন তিনি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া অক্ষত শরীরে বাহির হইয়া আসিলেন, তখন তাঁহার ভবিষ্যৎ জীবন চিরকালের জন্য নির্দ্ধারিত হইয়া গেল।[২]

 অধ্যাপক মিঃ ওটেনকে প্রহার করার অভিযােগে সুভাষচন্দ্র অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য প্রেসিডেন্সী কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে বিতাড়িত হন। পরে শিক্ষাব্রতী পুরুষসিংহ স্যার

  1. দি ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল গেটে ই. এফ্. ওটনকে প্রিন্সিপ্যাল বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। উহা ভ্রমাত্মক।}}
  2. {{smaller|“Prof. Oaten was said to have wounded the feelings of the Indian Students and Subhash Chandra, for the first time in his life, made a bold stand against the pride and arrogance of the ruling class and it was the first occasion in his life when his ‘theoretical morality and theoretical patriotism were put to a trial and a very severe test’; and when he came out of the ordeal unscathed, his ‘future career had been chalked out once for all.’” —The Calcutta Municipal Gasette, Vol XLII, No. 16, P. 442 (a)