পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

করিতেন, তাহা অধ্যাপক বিনয়কুমার সরকার মহাশয়ের রচনা হইতে উদ্ধৃত করা হইল—

 “তখন সুইট্‌জারল্যাণ্ডে ছিলাম। লুগানো সহরে বা পল্লীতে হঠাৎ সুভাষ বসুর টেলিগ্রাম পেলাম, সঙ্গে সঙ্গে চিঠি। চিত্তরঞ্জনের ‘ফরওয়ার্ড’ দৈনিক তখন সবে বেরিয়েছে বা বেরােয় বেরোয় হয়েছে। ১৯১৩ সন, *** ফরওয়ার্ডের জন্য এই অধমকে ‘বিদেশী সংবাদ-দাতা’ বহাল করা হয়েছিল। আমার উপর ভর ছিল ফরাসী, ইতালিয়ান, আর জার্ম্মাণ ভাষায় প্রচারিত বিশ্ব-সংবাদ টেলিগ্রাফে ফরওয়ার্ডকে পাঠাবার। চিঠিতে লেখা ছিল, রয়টারকে হারাতে হবে।’—এই কথাটায় খুব খুশী হয়েছিলাম।”  —বিনয় সরকারের বৈঠকে, ২য় ভাগ, পৃঃ ২৪৩-৪৪

 এইভাবে অবিরাম পরিশ্রম করিয়া তিনি ফরওয়ার্ড দৈনিককে শ্রেষ্ঠ দৈনিক পত্রিকারূপে জন-সমাজে প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। বলা বাহুল্য, তিনি দীর্ঘকাল ফরওয়ার্ডের সেবা করিবার সুযােগ পান নাই।

 ১৯২৪ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের নেতৃত্বে বঙ্গীয় “স্বরাজ্য দল” কলিকাতা কর্পোরেশন অধিকার করিল। বত্রিশটি ওয়ার্ডে দেশবন্ধুর মনােনীত ব্যক্তি কাউন্সিলার নির্ব্বাচিত হইলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনই কলিকাতা কর্পোরেশনের সর্ব্বপ্রথম মেয়র হন। ইহাতে কলিকাতার মিউনিসিপ্যাল কর্ম্ম-ব্যবস্থায় যুগান্তর সংসাধিত হয় এবং সুভাষচন্দ্র বসু কর্পোরেশনের সংশ্রবে আসেন।

 ১৯২৪ খৃষ্টাব্দের ১৪ই এপ্রিল সুভাষচন্দ্র মাত্র ২৭ বৎসর বয়সে কলিকাতা কর্পোরেশনের প্রথম চীফ্ এক্সিকিউটিভ