পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 সুভাষচন্দ্রই কলিকাতা মিউনিসিপ্যাল গেজেট প্রকাশের পরিকল্পনা করিয়াছিলেন; কিন্তু উহা প্রকাশের পূর্ব্বেই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুতরাং তিনি উহার প্রকাশ দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।

 ১৯২৪ খৃষ্টাব্দের ১৫ই নভেম্বর কলিকাতা মিউনিসিপ্যাল গেজেটের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যার সম্পাদকীয় স্তম্ভে নিম্নলিখিত মন্তব্য স্থান পাইয়াছিল—

 “প্রধান কর্ম্ম-সচিবের গ্রেপ্তারে কর্পোরেশন কতদুর ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, যাহারা ইহার বহির্ভাগে অবস্থিত তাহাদের পক্ষে তাহা পরিমাপ করা দুঃসাধ্য। *** শ্রীযুক্ত বসু কর্পোরেশনের শুধু কর্ম্মসচিব ছিলেন না; তিনি ছিলেন প্রত্যেক প্রয়ােজনীয় কার্য্যের বা পরিকল্পিত কার্য্য-সম্পাদনের নিয়ন্ত্রণকারী। এই গেজেট প্রকাশের পরিকল্পনা তাঁহারই মস্তিষ্কপ্রসূত। আমরা জানি, তিনি ইহার পরিচালনার্থ একটি বিস্তৃত কর্ম্মপদ্ধতি প্রস্তুত করিতেছিলেন।”

 সুভাষচন্দ্র বসুর আলিপুর সেণ্ট্রাল জেলে অবস্থিতিকালে তাঁহাকে কর্পোরেশনের কার্য্য-সংক্রান্ত কাগজ-পত্র দেখিতে এবং তৎসংশ্লিষ্ট লােকজনের সহিত দেখা-সাক্ষাৎ করিতে দেওয়া হইত। পরে যখন গভর্ণমেণ্ট উহা বন্ধ করিয়া দিলেন, তখন কর্পোরেশন মিঃ জে. সি. মুখার্জ্জিকে তাঁসঁহার স্থলে কার্য্য করিবার জন্য প্রথমে তিন মাসের জন্য নিযুক্ত করিলেন; তৎপরে সুভাষচন্দ্রকে আরও ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং এই অস্থায়ী ব্যবস্থা চলিতে থাকে।

 গ্রেপ্তারের পর সুভাষচন্দ্রকে প্রথমে কিছু দিন আলিপুর সেণ্ট্রাল জেলে রাখা হয়, পরে তথা হইতে তিনি বহরমপুর