পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

নির্দ্ধারিত হইল এবং ঐ দিন ভারতের সর্ব্বত্র তাঁহার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সভা-সমিতি ও বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হইয়াছিল।

 দীর্ঘকাল বন্দীজীবন যাপন করায় সুভাষচন্দ্রের স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া পড়িল। অবশেষে ১৯৩৭ খৃষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ্চ তারিখে গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে বিনা সর্ত্তে মুক্তিদান করিলেন। তাঁহার মুক্তিতে দেশে আবার আনন্দের বন্যা প্রবাহিত হুইতে থাকে। ১৯৩৭ খৃষ্টাব্দের ৬ই এপ্রিল তারিখে শ্রদ্ধানন্দ-পার্কে এক জন-সভায় দেশবাসী তাঁহাকে তাহাদের সাদর অভিনন্দন জ্ঞাপন করে।

 মুক্তিলাভের পর তিনি পাঞ্জাবের ডালহৌসী সহরে হিমালয়-শিখরে স্বাস্থ্য-লাভার্থ গমন করেন। ১৯৩৭ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে তিনি কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। ২৮শে নভেম্বর তারিখে তিনি পুনরায় চিকিৎসার্থ আকাশ-পথে ইয়োরোপ যাত্রা করেন। তিনি ইয়োরোপে অষ্ট্রিয়ার বাদগাসষ্টাইন নামক স্থানে অবস্থিতি করিয়া চিকিৎসিত হইতে থাকেন।

 ১৯৩৮ খৃটাব্দের জানুয়ারী মাসে তিনি ইংলণ্ডে গমন করেন।