পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৫৭

এবং বুঝায়; সুতরাং এই পরাজয়ে উভয়েরই পরাজয় ইহা বুঝিতে বিলম্ব হয় না। তথাপি গান্ধীজী কেন যে ‘ব্যক্তিগত পরাভব’ শব্দ-সমষ্টির উপর জোর দিয়াছিলেন, তাহাও সহজেই অনুধাবন করিতে পারা যায়।

 গান্ধীজীর অভ্রভেদী প্রভাব যে খর্ব্ব হইতে চলিয়াছে, এই সত্য সুস্পষ্টরূপেই অনুভূত হইয়াছিল।···একমাত্র সর্ব্বশক্তিমান্ ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট ব্যতিরেকে এই ভারতবর্ষে গান্ধীজীর ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবকে, কোনও দিন কোনও লোকই দ্বন্দে আহত করিতে সাহস পায় নাই।···সুদীর্ঘকাল পরে একজন শক্তিমান্ ভারতীয় সেই গান্ধীকেই চ্যালেঞ্জ করিয়া বসিল।

 চ্যালেঞ্জ করাই ত অপরাধ—যুদ্ধে জয়লাভ করা মহা অপরাধ—অমার্জ্জনীয় অপরাধ। গান্ধী-ভারতবর্ষ যেন বিহারের ভূমিকম্পে আলোড়িত হইয়া উঠিল!···ইদানীং কালের কংগ্রেসে এমন কাদা ছোঁড়াছুড়ির দৃষ্টান্ত আদৌ বিরল, একথা আমি অসঙ্কোচে লিখিয়া রাখিতে পারি।”

 বিজয়বাবুর এই মন্তব্যের পর আমাদের আর কোন মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। যা হোক্, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভ্যগণ যখন পদত্যাগ করিয়া সুভাষচন্দ্রকে একেবারে অসহায় করিয়া তুলিতেছিলেন, সুভাষচন্দ্র তখন কঠিন রোগে শয্যাশায়ী—তাঁহার ব্রঙ্কো-নিমোনিয়া। কিন্তু এই অবস্থায়ই তিনি ৬ই মার্চ্চ তারিখে ‘এম্বুলেন্স্’ গাড়ী করিয়া ত্রিপুরীতে প্রবেশ করিলেন।