পাতা:পওহারী বাবা.djvu/৩৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৪
পওহারী বাবা।

প্রেমে ভূষিত ছিল। সর্ব্বপ্রকার পীড়া তাঁহার নিকট সেই ‘প্রেমাস্পদের নিকট হইতে দূতস্বরূপ’ (পাহন দেওতা) ছিল আর যদিও তিনি ঐ সকল হইতে তীব্র পীড়া পাইতেন, তথাপি অপর লোকে পর্য্যন্ত ঐ পীড়াগুলিকে অন্যনামে অভিহিত করিবে, ইহা তিনি সহ্য করিতে পারিতেন না।

 এই অনাড়ম্বর প্রেম ও কোমলতা চতুর্দ্দিক্‌স্থ লোকের মধ্যে বিস্তৃত হইতে লাগিল আর যাঁহারা ইহার চারিদিকের পল্লীগুলিতে ভ্রমণ করিয়াছেন, তাঁহারাই এই অদ্ভুত ব্যক্তির নীরব শক্তিবিস্তারের সাক্ষ্য দিতে পারেন।

 শেষাশেষি তিনি আর লোকজনের সঙ্গে দেখা করিতেন না। যখন মৃত্তিকানিম্নবর্ত্তী গুহা হইতে উঠিয়া আসিতেন, তখন লোকজনের সঙ্গে কথা কহিতেন বটে, কিন্তু মধ্যে দ্বার রুদ্ধ থাকিত। তিনি যে গুহা হইতে উঠিয়াছেন, তাহা হোমের ধূম দেখিয়া অথবা পূজার আয়োজনের শব্দে বুঝা যাইত।

 তাহার একটী বিশেষত্ব এই ছিল যে, তিনি কোন সময়ে যে কার্য্য করিতেন, তাহা যতই তুচ্ছ হউক, তাহাতেই সম্পূর্ণ মগ্ন হইয়া যাইতেন। শ্রীরামচন্দ্রজীর পূজায় তিনি যেরূপ যত্ন ও মনোযোগ দিতেন, একটী তাম্রকুণ্ড মাজিতেও ঠিক তাহাই করিতেন। তিনি যে আমাদিগকে কর্ম্মরহস্য সম্বন্ধে একবার বলিয়াছিলেন, “যন সাধন তন সিদ্ধি” অর্থাৎ “সিদ্ধির উপায়কেও