পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bठ-९४४ विकभांडि। NY সিংহের মূৰ্ত্তি স্থানলাভ করে ; আর তদুপযোগী গাথা তাহাতে উৎকীর্ণ হয়। চন্দ্ৰগুপ্ত যেন সেই সিংহের সহিত যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত-সিংহমূৰ্ত্তি এমনিভাবে অঙ্কিত হইয়াছিল। এইরূপে আমরা চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বে চতুৰ্ব্বিধ মুদ্রার পরিচয় পাই। (১) পালঙ্ক অঙ্কিত মুদ্রা, (২) ছত্র অঙ্কিত মুদ্রা, (৩) ঘোড়শোয়ার অঙ্কিত মুদ্রা, এবং (৪) সিংহের সহিত যুদ্ধমূলক মূৰ্ত্তি অঙ্কিত মুদ্রা। এই চতুৰ্ব্বিধ মুদ্রাই দ্বিতীয় চন্দ্র-গুপ্তের রাজত্ব-কালে প্ৰচলিত ছিল। পণ্ডিতগণ বলেন,- চন্দ্রগুপ্তের রাজত্ব-কালেই তাম্র এবং রৌপ্য-মুদ্রা প্ৰস্তুত হহঁতে আরান্ত হয়। তঁহার লোকান্তরের পর প্রথম কুমার-গুপ্তের এবং স্কন্দ-গুপ্তের রাজত্ব-কালে বাহুল্যরূপে পূর্বোক্ত দ্বিবিধ মুদ্রা প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল। চন্দ্ৰ-গুপ্ত বিক্ৰমাদিত্যের পর তাহার পুত্ৰ কুমার-গুপ্ত সিংহাসনে অধিরোহণ করেন। কুমারগুপ্তের সিংহাসন-প্ৰাপ্তির কাল ৪১৩ অথবা ৪১৪ খৃষ্টাব্দে নির্দিষ্ট হয়। সুতরাং চন্দ্ৰ-গুপ্ত বিক্রমাদিত্য ঐ সময়েই লোকান্তর গমন করিয়াছিলেন। চন্দ্ৰগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের রাজ্য-কালেও গুপ্ত-সাম্রাজ্যের যশোগৌরবে দিগন্ত মুখরিত হইয়াছিল। তখনও বিভিন্নমুখী উন্নতিতে ভারতের প্রতিষ্ঠার অবধি ছিল না। e 琳 米 মহাকবি কালিদাস । চন্দ্র-গুপ্তের প্রসঙ্গে কালিদাসের প্রসঙ্গ আসিয়া পড়ে। কালিদাস পিক্ৰমাদিত্যের “নবরত্নের’ একতম ছিলেন, সৰ্ব্বত্ৰ দেখিতে পাহ। কিন্তু এই কালিদাসহ বা কে আর বিক্ৰমাদিত্যহ বা কে, তৎসম্বন্ধে নানা মতভেদ আছে । বিক্রমাদিত্য নামে ভারতে একাধিক নৃপতির পরিচয় পাহ। কাশ্মীরে এক বিক্রমাদিত্য রাজত্ব করিতেন,-“রাজতরঙ্গিণাতে” তাহার উল্লেখ দেখি। আবার উজ্জয়িনীতে এক বিক্রমাদিত্য রাজত্ব করিতেন, তিনি কারুরের যুদ্ধে শকদিগকে বিতাড়িত করেন,-সে। পরিচয়ও ইতিহাসের অঙ্কে স্থান পাইয়া আছে। এদিকে আবার গুপ্ত-বংশেও একাধিক বিক্রমাদত্যের পরিচয় পাহ। দ্বিতীয় চন্দ্ৰ-গুপ্ত “বিক্রমাদিত্য” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন ; আবার পুৱা-গুপ্তও “বিক্রমাদিত্য” বলিয়া অভিহিত হইতেন । এইরূপে ভারতের হতিহাসে আমরা চার জন বিক্ৰমাদিত্যের পরিচয় পাইলাম। 'নবরত্ন’ ইহঁদের কোন বিক্ৰমাদিত্যের রাজসভা সমলস্কৃত করতেন,-ইহাই প্রধান বিচাৰ্য্য। পুরাবৃত্তের আলোচনায় প্রতিপন্ন হয়,---কাশ্মারের বিএন্মাদিত্য এবং শকারি বিক্রমাদিত্য খৃষ্টীয় শতাব্দীর প্রথম ভাগে বিদ্যমান ছিলেন। আর গুপ্ত-বংশে যাহারা ‘বক্রমাদিত্য” নামে প্রখ্যাত হইয়াছিলেন, তাহদের বিদ্যমান-কাল-খৃষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দ। সুতরাং কোন বিক্রমাদিত্যের রাজত্ব-কালে, কোন সময়ে কালিদাস কোন রাজার সভাসদ ছিলেন,-তােহা - নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। এ ক্ষেত্রে যদি আমরা কালিদাসের বিদ্যমান-কাল স্থির কবিতে পারি, তাহা হইলে সীমান্তসমাধানের পথ কতকটা প্রশস্ত হইতে পারে। তাই প্ৰথমে কালিদাসের কাল-নির্দেশ-ত্রুমে এই বিরোধীয় বিষয়ের মীমাংসায় অগ্রসর হওয়াই প্রয়োজন মনে করি।