পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

আসে ত আসুক্ রাতি, আসুক্ বা দিবা,
যায় যদি যাক্ নিরবধি!
তাহাদের যাতায়াতে আসে যায় কিবা
প্রিয় মোর নাহি আসে যদি!

 অনেক গুলো দিন রাত এ পর্য্যন্ত এসেছে এবং গেছে কিন্তু তিনি আজ পর্য্যন্ত এসে পৌঁছলেন না—তাই, দিনই বলুন্ আর রাতই বলুন ও দুটোর পরে আমার আর কিছুমাত্র শ্রদ্ধা নেই!

 শ্রীশ। আচ্ছা রসিক বাবু, প্রিয়জন এখনি যদি হঠাৎ এসে পড়েন?

 রসিক। তাহলে আমার দিকে তাকাবেন না, তোমাদের দুজনের মধ্যে একজনের ভাগেই পড়বেন।

 শ্রীশ। তা’হলে তদ্দণ্ডেই তিনি অরসিক বলে প্রমাণ হয়ে যাবেন।

 রসিক। এবং পরদণ্ডেই পরমানন্দে কালযাপন করতে থাক্‌বেন। তা আমি ঈর্ষ্যা করতে চাইনে শ্রীশবাবু! আমার ভাগ্যে যিনি আস্‌তে বহ বিলম্ব করলেন, আমি তাঁকে তোমাদের উদ্দেশেই উৎসর্গ করলুম। দেবি, তোমার বরমাল্য গেঁথে আন! আজ বসন্তের শুক্ল রজনী, আজ অভিসারে এস!—

মন্দং নিধেহি চরণৌ, পরিধেহি নীলং
বাসঃ, পিধেহি বলয়াবলিমঞ্চলেন!
মা জল্প সাহসিনি, শারদচন্দ্রকান্ত
দস্তাংশবস্তব তমাংসি সমাপয়ন্তি।
ধীরে ধীরে চল তন্বি, পর নীলাম্বর,
অঞ্চলে বাঁধিয়া রাখ কঙ্কণ মুখর;
কথাটি কোয়ো না, তব দন্ত অংশুরুচি
পথের তিমির রাশি পাছে ফেলে মুছি!