পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।

পুরুষোচিত ব্যবহার করতে জানেন না—কেমন যেন গায়ে-পড়া ভাব! ওটা হয়ত অল্প বয়সের ধর্ম্ম।

 পূর্ণ। আমাদেরও ত বয়স খুব প্রাচীন হয় নি, কিন্তু আমরা ত—

 রসিক। তা ত দেখচি, আপনি খুব দূরে দূরেই থাকেন, কিন্তু উনি হয়ত সেটাকে ঠিক ভদ্রতা বলেই গ্রহণ করেন না। ওঁর হয়ত ভ্রম হচ্চে আপনি ওঁকে অগ্রাহ করেন।

 পূর্ণ। বলেন কি রসিক বাবু? কি করব বলুন ত? আমি ত ভেবেই পাইনে কি কথা বলবার জন্যে আমি ওঁর কাছে অগ্রসর হতে পারি।

 রসিক। ভাবতে গেলে ভেবে পাবেন না। না ভেবে অগ্রসর হবেন তার পরে কথা আপনি বেরিয়ে যাবে।

 পূর্ণ। না রসিক বাবু, আমার একটা কথাও বেরয় না। কি বল্‌ব আপনিই বলুন না।

 রসিক। এমন কোন কথাই বল্‌বেন না যাতে জগতে যুগান্তর উপস্থিত হবে। গিয়ে বলুন, আজকাল হঠাৎ কি রকম গরম পড়েছে।

 পূর্ণ। তিনি যদি বলেন হাঁ গরম পড়েছে তার পরে কি বলব?

বিপিন ও শ্রীশের প্রবেশ।

 শ্রীশ। (চন্দ্রবাবু ও নির্ম্মলাকে নমস্কার করিয়া নির্ম্মলার প্রতি) আপনাদের উৎসাহ ঘড়ির চেয়ে এগিয়ে চল্‌চে―এই দেখুন্‌ এখনো সাড়ে ছটা বাজে নি!

 নির্ম্মলা। আজ আপনাদের সভায় আমার প্রথম দিন সেই জন্যে সভা বসবার পূর্ব্বেই এসেছি—প্রথম সভ্য হবার সঙ্কোচ ভাঙতে একটু সময় দরকার।

 বিপিন। কিন্তু আপনার কাছে নিবেদন এই যে আমাদের কিছুমাত্র সঙ্কোচ করে চল্‌বেন না। আজ থেকে আপনি আমাদের ভার নিলেন