রসিক। আঃ বাঁচিয়েছেন!
শ্রীশ। অন্য সকল প্রকার অলোেচনা পরিত্যাগ করে এখন থেকে আমরা একান্ত মনে কুমার সভার কাজে লাগ্ব।
রসিক। আমারও সেই ইচ্ছে।
শ্রীশ। বনমালী বলে এক জন বুড়ো কুমোরটুলির নীলমাধব চৌধুরীর দুই কন্যার সঙ্গে আমাদের বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল আমরা তাকে সংক্ষেপে বিদায় করে দিয়েছি—এ সকল প্রসঙ্গও আমাদের কাছে অসঙ্গত বোধ হয়।
রসিক। আমার কাছেও ঠিক তাই। বনমালী যদি দুই বা ততোধিক কন্যার বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে উপস্থিত হতেন তবে বোধ হয় তাঁকে নিষ্ফল হয়ে ফির্তে হত!
বিপিন। রসিক বাবু কিছু জলযোগ করে যেতে হবে!
রসিক। না মশায়, আজ থাক্। আপনাদের সঙ্গে দুটো একটা বিশেষ কথা ছিল কিন্তু কঠিন প্রতিজ্ঞার কথা শুনে সাহস হচ্চে না।
বিপিন। (সাগ্রহে) না, না, তাই বলে কথা থাক্লে বল্বেন না কেন?
শ্রীশ। আমাদের যতটা ঠাওরাচ্চেন ততটা ভয়ঙ্কর নই। কথাটা কি বিশেষ করে আমার সঙ্গে?
বিপিন। না, সে দিন যে রসিক বাবু বলছিলেন আমারি সঙ্গে ওঁর দুটো একটা আলোচনার বিষয় আছে।
রসিক। কাজ নেই থাক্!
শ্রীশ। বলেন ত আজ রাত্রে গোলদিঘির ধারে—
রসিক। না শ্রীশ বাবু মাপ করবেন।
শ্রীশ। বিপিন ভাই, তুমি একটু ও ঘরে যাও না, বোধ হয় তোমার সাক্ষাতে রসিক বাবু―