পাতা:প্রতিজ্ঞা-পালন - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিজ্ঞা-পালন । ” లి সেইরূপ তাস আসামীর বাড়ীতে পাওয়া গিয়াছে ; তাহার ভিতরেও একখানা তাস নাই ; যেখানা নাই—সেইখানাই ইস্কাবনের টেক্কা । আসামী খুনের পর দিবস রাত্রে বাগবাজারের সেই বাড়ীতে আসিয়াছিলেন, ডিটেকটিভঙ্গ অক্ষয়বাবু ও রামকান্ত ইহাকে দেখিয়া চিনিয়াছিলেন। দুঃখের বিষয়, আমরা রামকান্তকে দিয়া সাক্ষ্য দিতে পারিব না, কারণ রামকান্ত পুলিস হইতে ডিসমিস হইয়া যে কোথায় গিয়াছে, BDBuDDB BB DBBDB K LLDD DDD DDD S BDDBD DBDSDS BB মোটা লাঠী পাওয়া গিয়াছে, উহাতে রক্তচিহ্ন আছে। ডাক্তার পরীক্ষা করিয়া বলিয়াছেন যে, এইরূপ লাঠীব আঘাতেই সুধামাধব রায়ের মৃত্যু হইয়াছে। বাগবাজারের এই বাড়ীতে একখানা চিঠির খাম পাওয়া গিয়াছে—তাহ আসামীর হাতের লেখা বলিয়া বুঝিতে পারা যাইতেছে ; ইহাতেও আরও সপ্ৰমাণ হইতেছে যে, এই বিনোদিনীর সহিত আসামীর প্রণয় ছিল ; সুতরাং আসামীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে ; কিন্তু আসানী কোন কথাই বলিতেছেন না, কেবল বলিতেছেন, তিনি নিৰ্দোষী। এ অবস্থায় জুরিগণ বিবেচনা করিবেন। যে, আসামী দোষী না নিৰ্দোষীণ এখন আমি একে একে সাক্ষৗদিগকে ডাকিব, আর অধিক আমার কিছু বলিবার নাই।” সাক্ষীর জবানবন্দী হইল ; উভয় পক্ষের কৌন্সিলি দীর্ঘ বক্ততা করিলেন, জজও তাহার মতামত প্ৰকাশ করিলেন। তৎগরে জুরিগণ পরামর্শ করিবার জন্য উঠিয়া গেলেন। সকলেই বুঝিয়েছিলেন যে, আসামীর রক্ষা পাইবার আর উপায়। নাই। একজন মুসলমান ভদ্রলোক বরাবর অতি মনোযোগের সহিত এই মোকদ্দমা শুনিতেছিলেন। জুরিগণ উঠিয়া গেলে তিনি পার্শ্বস্থ এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কিরূপ বুঝিতেছেন ?”