পাতা:প্রহাসিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় আটটা নয়টা বাজে দশটা, মোর প্রাণে কাব্যের রসটা কেবলই শুকোতে থাকে— রক্ত হয়ে যায় নিশ্চল শক্ত | ২রা শ্রাবণ ১৩৪৭ ৩৮ ও ৩৯ ৷ এ দুটি সম্পর্কে বিশেষভাবে এবং এ সময়ের অন্যান্ত ছড়া ব৷ কবিতা সম্পর্কে সাধারণভাবে সংকলয়িত সুধাকান্ত রায়চৌধুরীর এই কথা-কয়টি স্মরণযোগ্য : “রবীন্দ্রনাথের রোগ-কক্ষ তার হাস্কাভাব-পুতুলখেলার ঘর। অবসরের বেলা কাটে তার রঙ-বেরডি ভাবের পুতুল নিয়ে খেলায় ; সে-খেলায় আশি বছরের বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথের আনন্দ তার একার নয়, সে আনন্দ তাদের সকলের র্যারা থাকেন তার আশেপাশে ।... যার যখন ঘটে সুযোগ সে-ই নেয় কুড়িয়ে, রাখে তুলে যত্বে ।’ ও সংকলিত দুটি কবিতাই যে দৌহিত্রী নন্দিত কৃপালনীর উদ্দেশে, সংকলক তাহা উল্লেখ করিতে ভুলেন নাই । রবীন্দ্রনাথের কন্ত মীরা দেবীর তথা নাতনি নন্দিতার বাড়ির নামই "মালঞ্চ” । ৪০ ॥-ইহার যে পাণ্ডুলিপি শাস্তিনিকেতন-রবীন্দ্রসদনে সংরক্ষিত তাহ মুখ্যতঃ কবির স্বহস্তে লেখা ; ১৩৪৭ চৈত্রের কবিতা পত্রে নাই এমন দুটি ছত্র তাহাতে পাওয়া যায়। রচনার সমসময়ে যে টাইপ-কপি প্রস্তুত করা হয়, অতিরিক্ত ঐ দুই ছত্র তাহাতেও বর্তমান । কবিতা পত্রের ‘কপি’তে “ছাড়" হয় অথবা কবি পরে ঐ দুটি ছত্র যোগ করেন নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও সম্পূর্ণ যে পাঠ বর্তমানে পাওয়া যায়, তাহাই এই গ্রন্থে সংকলিত। রচনার স্থান-কালও সংরক্ষিত কপিঅনুসারে । কবিতা পত্রে এ কবিতার একটি গষ্ঠভূমিকা ছিল ; তাহা এ স্থলে সংকলন করা গেল । — মিলের কাব্য ১৯।১।৪১ তারিখের কথা । সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বসে অাছি শয়নকক্ষে ১৩ রবীন্দ্র-দৈনিক স্বধাকান্ত রায়চৌধুরী। প্রবাসী, ১৩৪৭ ফন্ধন, পৃ ৬১৪ ጏ ðግ