পাতা:প্রেম-ভিখারিণী.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভিখারিণী । २१ মরেঞ্জ। তবে কেম আসিয়াছ ? সরোজিনী কথা কহিবার প্রয়াস পাইলেন। একবার মরেন্দ্রর দিকে তাকাইলেন—তাহাতে চক্ষু স্থির ইল। স্থির চক্ষে নরেন্দ্রের মুখমণ্ডল নিরীক্ষণ করিতেছেন। শুষ্ক কণ্ঠে একটি ঢোক গিলিয়৷ যুদ্ধস্বরে কহিলেন-আমি এই জন্ত আসিয়াছি ইষ্ট আন পান, হ’লে আজ আমাদের-বলিতে বলিতে কণ্ঠ রোধ হইল, নয়নদ্বয় হইতে অশ্রু ছাপাইয়া ঝর ঝর ঝরিতে লাগিল ; কথা কহিতে না গারিয়া নিঃশব্দে অশ্রু বিসর্জন করিতে লাগিলেন-পুস্তকগুলি অশ্রজলে সিক্ত হইতে লাগিল । আজ সরোজিনী যদি বা পিতার অনুমতি পাইয়া সায়ালদের বাটতে আসিতে পাইলেন, কিন্তু নরেঞ্জের ভাব বৈলক্ষণ্য দেখিয়া তিনি যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইয়াছেন। একবার মনে করিতেছেন পিতা মহাশয় যদি জানিত্বে পারেন আমি পয়সার নিমিত্ত নরেঞ্জর নিকট আসিয়াছি তাহা ইলে আমার দুৰ্গতির পরিসীমা থাকিবে না। জানি না বিধুর মনে কি আছে ? ভাল, বিধু যদি কোন উপায়ে জানিতে পারে আমি নরেন্দ্রর নিকট দাড়াইয়া আছি—তাছা হইলে ? উপায় ৷ এখনি চলিয়া যাই । নরেঞ্জেরও মনে এইরূপ নানা প্রকার ভয় হইতেছে—দিনের বেলা, বিশেষতঃ অপবাদ। সরোজিনী প্রস্থানের নিমিত্ত চরণ বাড়াইলেন। নরেন্স ডাকিয়া কছিলেন সরোজিনী ! সরোজিনী এইবার চক্ষু মুছিয়া পার্শ্ব ফিরিয়া দাড়াইলেন। সজলনেত্রে নরেঞ্জের দিকে মুখ ভুলিয়া চাছিলেন। নরেন্দ্রও সে মুখ দেখিয়া উভরিয়া কাদিয়া ফেলিলেন। উভয়েই সমস্বরের কদম্ব আরম্ভ করিলেন। নরেন্স উন্মত্তের স্থায় সরোজিনীর নিকট খাইয়া কহিলেন—সরোজিনী কাদিতেছ কেন ? সরোজিনী কহিলে আমাৰে তুমি অশ্রদ্ধ কর কেন ? 灘