পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ञांड्या भांड्ष्म ब्राझ রাজা রামমোহন বর্তমান ভারতের বিরাটতম পুরুষ। তঁহার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বা শক্তিশালী লোক এ যুগে আর একটিও জন্মগ্রহণ করিয়াছেন কি না সন্দেহ। রামমোহনের পূর্বপুরুষেরা বাঙালি ছিলেন না। তঁহাদের আদিম নিবাস ছিল পশ্চিমে কনীেজ প্রদেশ। কর্মব্যাপদেশে তাহারা বাংলায় আসেন। তারপর এইখানেই থাকিয়া যান। ধীরে ধীরে বাংলার সমাজের সঙ্গে মিশিয়া তাহারা বাঙালি হইয়া গিয়াছিলেন। রামমোহনের পূর্বপুরুষদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা যেরূপ শ্রেষ্ঠ ছিল, তঁহাদের সৎকার্যে ব্যয়, দান, ধ্যান, ধর্মানুরাগ প্রভৃতির খ্যাতিও তেমনি প্রচুর ছিল। রামমোহনের প্রপিতামহ কৃষ্ণচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়ী নবাবি আমলে উচ্চ রাজপদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তিনিই তাহার কৃতিত্বের দ্বারা ‘রায়” খেতাব লাভ করেন। তাহার পর হইতে এই খেতাব বংশানুক্রমিক ভাবে চলিয়া আসিয়াছে। রামমোহনের পিতার নাম ছিল রামকান্ত রায়।” রামকান্তের পিতা ব্ৰজবিনোদষ্ট যেমন সত্যনিষ্ঠ ছিলেন- রামকান্তও তেমনি পিতৃভক্ত ছিলেন। তঁহার পিতৃভক্তির একটি দৃষ্টান্ত বিশেষভাবেই উল্লেখযোগ্য। ব্ৰজবিনোদ তখন মৃত্যুশয্যায়। এই আসন্নকালে শ্ৰীরামপুরের চাতরা গ্রামের শ্যাম ভট্টাচাৰ্যর্ণ নামক জনৈক ব্ৰাহ্মাণ আসিয়া বলিলেন, তিনি রায় মহাশয়ের দ্বারে ভিক্ষার্থ হইয়া আসিয়াছেন। ব্ৰজবিনোদ জিজ্ঞাসা করিলেন-“কি ভিক্ষা ?” শ্যাম ভট্টাচাৰ্য উত্তর দিলেন-“আপনি প্রতিশ্রুতি দিন আমাকে বিমুখ করিবেন না ; তবেই আমি আমার যন্ত্রার কথা নিবেদন করিব।” “যদি আমার ক্ষমতায় কুলায়, আমি আপনাকে বিমুখ করিব না।” শ্যাম ভট্টাচার্য তখন বলিলেন--“আমার কন্যার সহিত আপনার ছেলের বিবাহ দিতে হইবে।” রায়-বংশ স্বভাব-কুলীন, পরম বৈষ্ণব। কিন্তু ভট্টাচাৰ্য মহাশয় ভঙ্গ ও শাক্ত। সুতরাং উভয় পরিবারে বিবাহ অসম্ভব। কিন্তু সত্যনিষ্ঠ ব্ৰজবিনোদ যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন।-- সম্রাম ও কুলের অপেক্ষা তিনি সেই প্ৰতিশ্রুতিই বড় বলিয়া মনে করিলেন। তিনি একে একে পুত্ৰগণকে ডাকিয়া তাহার প্রতিশ্রুতির কথা জানাইলেন এবং তঁহাকে পণ হইতে মুক্তিদানের জন্য অনুরোধ করিলেন। ব্ৰজবিনোদের সাত পুত্রের মধ্যে কুল-ভঙ্গ ও একঘরে হইয়া থাকিরার ভয়ে পিতৃসত্য পালনে অস্বীকৃত হইলেন। কিন্তু পিতার বিষয় ও সজল। চক্ষুর দিকে চাহিয়া রামকান্ত অস্বীকার করিতে পারিলেন না। তিনি কহিলেন-“বাবা,