পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবদার রহিম SGS এত বিভিন্ন দিকের অসংখ্য কাৰ্যভার মাথার উপর থাকা সত্ত্বেও বাংলা সাহিত্যে র্তাহার দান নিতান্ত সামান্য নয়। সরলাদেবীর সঙ্গীতগুলির মধ্যে যেমন আমরা তঁহার অসামান্য কবিত্ব শক্তির পরিচয় পাই, তাহার রচনা-চাতুর্য ও ভাষার মাধুর্যে তেমনই মুগ্ধ হই; আবার তেমনই বিস্মিত হই, তাহার স্বজাতি ও স্বদেশের প্রতি প্রগাঢ় মমতার অনুভূতি পাইয়া। তাহার কল্পনা দৃপ্ততেজে উজ্জ্বল, র্তাহার ভাব-বিলাস বীরত্বানুরাগী, তাহার প্রকাশভঙ্গি বলিষ্ঠ ও সুস্থ। সর্বধর্ম ও সর্বজাতির সমন্বয়ে ভারতে সাম্য ও একতার আদর্শ জাগাইয়া তুলিতে তিনি জীবনব্যাপী সাধনা করিতেছেন। তাহার ধর্মে, কর্মে, সাহিত্যে, সঙ্গীতে ও ব্যক্তিগত জীবনেও চিরদিন এই আদর্শকেই তিনি অনুসরণ করিয়া চলিয়াছেন। সকল ক্ষয়ক্ষতি, নিন্দা ও দুর্নামকে তুচ্ছ করিয়া তিনি আপনি ব্ৰতোদযাপনে সত্যাশ্রয়ীর ন্যায় অবিচলিত আছেন। র্তাহার আদর্শ রক্ষার্থ কৃচ্ছসাধনমূলক তাহার এই যে জীবন, এই যে সকল প্রকার বিপরীত অবস্থায় ঝঙ্কা ও তুফানের মধ্যেও তিনি আপন মহান চরিত্রবলে অবিচলিত আছেন---এই অসাধারণ চরিত্ৰবলই তাহকে বাংলার তথা ভারতের নারীসমাজে চিরদিন বরণীয়া করিয়া রাখিবে।* বাংলাদেশে চিরদিনই হিন্দু মুসলমান ভ্ৰাতৃভাবে বাস করিয়া আসিতেছে। সেজন্য ইংরেজি শিক্ষার প্রভাবে হিন্দুরাও যেমন উচ্চতম শিক্ষা লাভের পর উন্নতির চরম সীমায় আরোহণ করিয়াছেন, মুসলমানগণও তেমনই কোনো বিষয়ে পশ্চাৎপদ থাকেন নাই। আমরা এখানে যে মুসলমান বিজ্ঞের কথা আলোচনা করিব, তিনি খাঁটি বাঙালি এবং তঁহার উন্নতিতে শুধু বাংলার মুসলমান সমাজের মুখ উজ্জ্বল হয় নাই, হিন্দু সমাজেরও গৌরব বৃদ্ধি হইয়াছে। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে আবদর রহিমের জন্ম হয়। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে” শিক্ষালাভের পর বিলাতে ব্যারিস্টারি পড়িতে গিয়াছিলেন ও ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারি পাশ করিয়া এদেশে ফিরিয়া আসেন। তিনি যে ভবিষ্যৎ জীবনে উন্নতি লাভ করিবেন, তাহার পরিচয় তাহার প্রথম জীবনেই পাওয়া গিয়াছিল। থাকে ও অতি অল্প দিনের মধ্যে তিনি বাংলার ডেপুটি লিগ্যাল রিমেমব্রান্সারের পদ লাভ করেন। ঐ পদ প্ৰাপ্তিতেই তাহার অসাধারণ প্রতিভার কথা প্রমাণিত হইয়াছিল। マエー>v.b.>ssa