পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS.br दश्र-gीड़ाद ৭. ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্তি ৪ ১৮৪৯-এর মার্চ মাসে বাংলার তদানীন্তন ডেপুটি গভর্নর স্যার হাবার্ট ম্যাডকের নির্দেশে মাসিক দুশত টাকা বেতনে তিনি আলিপুরের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত হন। ১৮৫২-এর এপ্রিল থেকে তিনি ম্যাজিষ্ট্রেটের সমস্ত ক্ষমতা প্ৰাপ্ত হন। ৮. জাস্টিস অফ পিস ঃ ১৮৬৩-তে তিনি জাস্টিস অব পিস হন। তিনি শুধু কলকাতার জন্য ছিলেন না বাংলা বিহার উড়িষ্যার জন্যও এই সম্মান পেয়েছিলেন। এটি ১৮৬৫ OS 3. ৯. মহসিন ফাণ্ড ও লতিফের সংস্কার ঃ ‘সেকালের কৃতী বাঙ্গালী’ গ্রন্থের লেখক জানাচ্ছেন, “...দানবীর হাজী মহম্মদ মহসীন মুসলমানগণের যে শিক্ষার জন্য প্রভূত অর্থদান করিয়া গিয়াছিলেন, ইংরেজ কর্তৃপক্ষগণ সে শিক্ষার জন্য সেই অর্থব্যয় না করিয়া অন্য কাৰ্য্যে উহা ব্যয় করিতেছিলেন। মহসীন ফণ্ড হইতে প্ৰায় বাৎসরিক ৫০,০০০ টাকা হুগলীর কলেজে ইংরাজী শিক্ষার জন্য ব্যয়িত হইতেছিল। ... মুসলমান ছাত্রগণ ইংরাজী শিক্ষার বিরোধী ছিলেন। হুগলী কলেজে হিন্দু ছাত্ৰগণই ইংরাজী শিক্ষা করিতেন। সুতরাং স্বজাতীয়গণ আরব্য ভাষায় লিখিত ইসলাম ধর্মশাস্ত্ৰাদির মর্ম অবগত হইতে পারেন, এইরূপ শিক্ষার জন্য মহম্মদ মহসীন যে অর্থদান করিয়া যান, সেই অর্থে হিন্দুগণ ইংরাজী শিক্ষা লাভ করিয়া ইসলাম ধর্মের প্রতি ঘূণা প্ৰদৰ্শন করিয়া মহসীন প্রদত্ত অর্থের সুফল প্রদর্শন করাইতে লাগিলেন। ... অধিকন্তু এই সময়ে মহসীন ফণ্ড হইতে পরিচালিত হুগলী মাদ্রাসা উঠাইয়া দিবারও এক প্রস্তাব হয়। মুসলমান সমাজে অসন্তোষ ভয়ানক বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গদেশীয় মুসলমানগণের প্রতিনিধিরূপে আবদুল লতিফ। এই সকল ব্যাপার তৎকালীন লেফটেনাণ্ট গভর্নর স্যার জন পিটার গ্রন্ট মহােদয়ের গোচরীভূত করেন। স্যার জন আবদুল লতিফকে মহসীন ফন্ড সংক্রান্ত, সমস্ত কাগজপত্ৰ পরীক্ষা করিয়া তাহার মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিয়া তাহাকে প্রেরণ করিতে অনুরোধ করেন। স্যার জনের অনুরোধে লতিফ প্রস্তাব দেন যে, হুগলী কলেজে সাহায্যদান বন্ধ রেখে হুগলী মাদ্রাসার সংস্কার ও মুসলমান ছাত্রদের শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় ইংরেজি ও আরবি শিক্ষার জন্য টাকা বরাদ্দ হােক। পণ্ডিত দ্বারকানাথ ভূষণ সম্পাদিত ‘সোমপ্রকাশ’ ও “আবদুল লতিফের প্রস্তাবের অনেকটাই সমর্থন করেন। “তাহাদিগের (মুসলমানদিগের) ইংরাজী ও বাংলা উভয় ভাষা শিক্ষা করিলে যেরূপ উপকার দর্শিবার সম্ভাবনা আছে, আরবী ও পারসী ভাষা শিক্ষায় তাহার শতাংশের একাংশও উপকার সম্ভাবনা নাই।” ‘বেঙ্গলী’ পত্রের সম্পাদক স্বনামধন্য গিরিশচন্দ্ৰ ঘোষ ও এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। স্যার জন পিটার গ্ৰাণ্ট সানন্দে লতিফের বক্তব্য সমর্থন করেন। তিনি ১৮৬২ সালের মার্চ মাসে ভারত ত্যাগ করার ফলে এই প্ৰস্তাব কিছুদিন ধামাচাপা পড়ে যায় ও পরবতীর্ণ গভর্নর জেনারেল লর্ড এলগিন এ ব্যাপারে যথোচিত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেন। ১০. ভূপাল রাজ্যের মন্ত্রীত্ব গ্ৰহণ ৪ এটি ১৮৮৬-তে নয়। ১৮৮৫-তে হয়েছিল ১১, মৃত্যু ৪ ১৮৯৩-এর ১৮ জুলাই নয় হবে ১০ জুলাই।