পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য &११ উপেন্দ্ৰনাথ ব্ৰহ্মচারী ১. পিতা ও মাতা পিতা নীলমণি ব্ৰহ্মচারী পূর্ব রেলওয়ের একজন চিকিৎসক ছিলেন ও মায়ের নাম ছিল সীেরভমণি দেবী। ২। জন্ম ও জন্মস্থান ঃ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ জুন উত্তরবিহারের বিখ্যাত রেলওয়ে শহর জামালপুরে উপেন্দ্রনাথ ব্ৰহ্মচারীর জন্ম। আদিনিবাস ঃ বর্ধমান জেলার সারদেঙা নামে এক নিষ্ঠাবান ব্ৰাহ্মণ পরিবারে-জন্ম গোপাল ভারতী ব্ৰহ্মচারী ঠাকুরের বংশধর। ৩। শৈশবশিক্ষা ৪ জামালপুরের ইস্টার্ন রেলওয়েজের বয়েজ স্কুলে উচ্চশিক্ষা ঃ ১৮৯৩-এ হুগলি কলেজ থেকে গণিত ও রসায়নশাস্ত্ৰে স্নাতক ডিগ্রি লাভ/গণিতে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে Thawaytes পদক লাভ। ১৯৮৪ তে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নশাস্ত্ৰে প্ৰথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে স্বর্ণপদক প্ৰাপ্তি। চিকিৎসা বিদ্যা শিক্ষা ঃ ১৮৯৯-এ এল. এম. এফ ডিগ্রি লাভ করেন। পরের বছর মেডিসিন ও সার্জরিতে প্ৰথম স্থান অধিকার করে গুডিভ ও ম্যাকলাওড পদক লাভ করেন । ৪. পেশাগত জীবন ঃ ১৮৯৯তে প্ৰাদেশিক শিক্ষাবিভাগে যোগদান। ১৯০১-এ ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে প্যাথোলজি ও মেটিরিয়া মেডিকার শিক্ষক ও চিকিৎসকের পদ লাভ করেন। ১৯০৫-এ কলকাতায় ফিরে এসে ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলে (বর্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল) প্যাথোলজির শিক্ষকরূপে যোগদান করেন। ১৯০৫ থেকে ১৯২৩ পর্যন্ত তিনি ঐ পদে ছিলেন। ১৯২৩-১৯২৭ পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অতিরিক্ত চিকিৎসকের পদ অলংকৃত করে প্রথম নন আই. এম. এস. রাপে সম্মানিত হন। ৫ গবেষণা ঃ ১৯০২ এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. ডি.। ১৯০৪-এ ফিজিওলজিতে গবেষণা করে ‘Studies in Haemolysis-এর জন্য পিএইচ. ডি. ডিগ্রি পান। এর ফলে তিনি কোর্টস পদক, গ্রিফিথ পুরস্কাব ও মিন্টো পদক লাভ করেন। Ve VfR : Y soy-q GKSf3f3fGR frFIEK OF GKPI * (Quarantune fever of Bengal) আবিষ্কারের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন। কালাজুরের শক্তিশালী প্ৰতিষেধক রূপে ইউরিয়া স্টােবামাইন’ আবিষ্কার। ডাঃ ব্ৰহ্মচারীর মতে ইউরিয়া স্টােবামাইন হল অ্যামিনােফিনাইল স্টিবেনিক অ্যাসিড (CHNSB) সুদীর্ঘ সাত বছর নিরলস গবেষণার পর ডা. ব্ৰহ্মচারী এই যুগান্তকারী ঔষধ আবিষ্কার করলেন। ৭ বিবিধ সম্মান ঃ কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য, চিকিৎসা বিভাগের সম্পাদক (Secretary) সভাপতি, সোসাইটির "উইলিয়াম জোনস' স্বর্ণপদক লাভ। ১৯১১ তে রায়বাহাদুর’ উপাধি ১৯২৪-এ কাইজার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক লাভ