ছেঁচ্কীর ন্যায় চড়চড়ীতে লঙ্কা, মেথি ফোড়ন পড়ে, ছেঁচ্কীর ন্যায় চড়চড়ীর আনাজাদিও উত্তমরূপে কষাইয়া লইতে হয় এবং তৎবৎ শুকনা শুক্না করিয়া নামাইতে হয়; কিন্তু ছেঁচ্কীতে যেমন সচরাচর অপেক্ষাকৃত বুড়া গোছের আনাজ ছেঁচিয়া বা মিহি করিয়া কুটিয়া লইতে হয় চড়চড়ী বুড়া কচি উভয়বিধ আনাজেই রাঁধা চলে এবং তাহা অপেক্ষাকৃত বড় বড় ফলা ফলা করিয়া (ঈষৎ লম্বা ছাঁদে) কুটিয়া লইতে হয়। চড়চড়ীর আনাজাদি উত্তমরূপে কষান হইলেও ছেঁচ্কীর ন্যায় অতিরিক্ত কষাইতে হয় না। সুতরাং ছেঁচ্কী রাঁধিলে যেমন নসনসে গোছ হয়, চড়চড়ী তাহা হয় না, পরন্তু সরিষা বাটা মিশাইয়া শুকাইয়া লওয়া হয় বলিয়া ইহা চড়চড়ে গোছ হইয়া থাকে। তারপর ছেঁচ্কী যেমত এক প্রকার আনাজেই বা তৎসহ এক প্রকার মৎস্যযোগে সাধারণতঃ রাঁধা হইয়া থাকে, চড়চড়ী একাধিক আনাজ বা মৎস্য দ্বারা রাঁধা অতি সাধারণ। মেথি পর্ব্বে চড়চড়ীর বিশেষত্ব কাঁচা লঙ্কা ও সরিষা বাটা সংযোগে। এবং আমিষ চড়চড়ী হইলে তৎসহ পেঁয়াজ ফোড়নে।
বরেন্দ্রে কোন কোন ‘পোড়ায়’, ‘সিদ্ধে’ এবং ‘পাট ভাজিতে’, ‘অম্বলে’ (টকে) এবং ‘চাট্নীতে’ এবং সমস্ত ‘চড়চড়ীতে’ সরিষা বাটা সংযোগ করে তৎব্যতীত অপর কোনও ব্যঞ্জনে করে না। এবং দুই একটি ‘ভাজিতে’ বা ‘ছেঁচ্কীতে’, ‘শুক্তানিতে’ এবং ‘অম্বলে’ (টকে) সরিষা ফোড়নরূপে ব্যবহার করে। কাঁচা লঙ্কা সংযোগ সম্বন্ধেও প্রায় ঐ বিধি, কেবল কোনও কোনও ডাইলে কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিতে হয়, এবং শুক্তানিতে কাঁচা লঙ্কা সংযোগ নিষিদ্ধ। পেঁয়াজ কাঁচা অবস্থায় কোনও কোনও ‘পোড়ায়’, ‘সিদ্ধে’, ‘সূপে’ এবং ‘কালিয়াতে’, ‘চাট্নীতে’ প্রযুয্য এবং ফোড়ন অবস্থায় কোনও কোনও ‘ভাজিতে’, ‘চড়চড়ীতে’, ‘ডাইলে’ এবং ‘কালিয়াতে’ দেয়। এই সকল নির্দ্দিষ্ট ব্যঞ্জন ব্যতীরেকে অপর কোনও ব্যঞ্জনে সরিষা, কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজের