পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়-চড়চড়ী।
৯১

আলু, ফুলকোবি অথবা ওলকোবি অথবা সালগম এবং কলাইশুটী এবং স্কোয়াস লইয়া ঈষৎ লম্বা ছাঁদে বানাও। স্বতন্ত্রভাবে কষাইয়া রাখ। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, কালজিরা ও মেথি ফোড়ন দিয়া পরে পেঁয়াজ ফোড়ন দাও। পেঁয়াজ ঈষৎ লাল হইলে মাছ ছাড়। আংসাও। নুণ, হলুদ ও লঙ্কাবাটা দাও। নাড়িয়া চাড়িয়া জল দাও। ফুটিলে কষাণ আনাজ ছাড়। গোটা কয়েক কাঁচা লঙ্কা চিরিয়া ছাড়। সিদ্ধ হইয়া জল শুকাইলে সরিষা বাটা দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও। একটু সরিষার তেল মিশাও।

 বড় বড় গলদা ও মোচা চিঙড়ী, কাঁকড়া এবং কোন কোন সামুদ্রিক মাছের এই প্রকারে ফুলকোবি কলাইশুটী দিয়া চড়চড়ী রাঁধিতে পার। চড়চড়ীর আনাজ, মৎস্য কোনটাই বরেন্দ্র-সুলভ নহে সুতরাং পূর্ব্বকালে ইহার প্রচলন ছিল না,—আজিকালি হইয়াছে। তবে রন্ধন-প্রণালী অবশ্য বারেন্দ্র বটে।

১০৬। চূঁচড়া মাছের চড়চড়ী

 রুই মাছ চড়চড়ীর ন্যায় আলু, পটোল, বেগুন, মূল সহ চুঁচড়া মাছেরও অতি চমৎকার চড়চড়ী হইয়া থাকে। অধিকাংশ স্থলেই নানাবিধ চুঁচড়া মাছ এক সঙ্গে মিশাইয়া এই চড়চড়ীতে দেওয়া হইয়া থাকে। ক্ষুদ্র মাছে সাধারণতঃ শুক্না লঙ্কা বাটা দেওয়া যায় না। পেঁয়াজ ফোড়ন দিলে তবে স্বাদ উৎকৃষ্ট হয়। ছোট মাছ হইলে গোটা রাখিয়া কুটিয়া লইবে এবং মাছ ঈষৎ বড় হইলে আবশ্যকমত দুই বা তিন খণ্ড করিয়া লইবে।

 আনজগুলি কুটিয়া পূর্ব্বে আলাদা আলাদা কষাইয়া লও। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ও পেঁয়াজ ফোড়ন দিয়া নুণ, হলুদ মাখা মাছ ছাড়। (অধিক পরিমাণে মাছ হইলে পূর্ব্বে মাছগুলি তেলে কষাইয়া লইলে সুবিধা হয়)। আংসাও, কষাণ আনাজ ছাড়। নুণ হলুদ দিয়া জল দাও। গোটা কয়েক কাঁচা লঙ্কা চিরিয়া ছাড়। সিদ্ধ হইয়া জল শুকাইয়া গেলে সরিষা