পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
বরেন্দ্র রন্ধন।

রুই প্রভৃতি বড় মাছের বাচ্ছা, পিয়ালী প্রভৃতি ক্ষুদ্র মাছের শুক্ত-ঝোল রাঁধা যাইতে পারে। কিন্তু পবা মাছের শুক্ত-ঝোলের ন্যায় অপরাপর মাছের শুক্ত-ঝোলের তাদৃশ সুন্দর স্বাদ হয় না।

 এই ঝোল উত্তম গাওয়া ঘি ও লেবুর রসের যোগে গরম ভাতে মাখিয়া খাইতে ভাল।

১২৯। রুই প্রভৃতি মাছের শুক্ত-ঝোল

(মাছ গোটা রাখিয়া)

 (ক) নোছি বা অপর ক্ষুদ্র মাছ লইয়া গোটা বা দুই খণ্ডে কুট। অপেক্ষাকৃত বড় মাছের কাঁটাকুটি লইলেই চলিবে। অধিক মাছ লইতে হইবে না। আলু, আনাজিকলা, বেগুন, পটোল, ঝিঙ্গা, ডাঁটা প্রভৃতি ডুমা ডুমা বা ঈষৎ লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। আনাজ ও মৎস্য সমস্ত একসাথে জলে সিদ্ধ উঠাইয়া দাও। নুণ ও অল্প হলুদ দাও। সুসিদ্ধ হইলে পিঠালী দিয়া ঈষৎ গাঢ় করিয়া নামাও। তেলে মেথি ও সরিষা (গোটা) ফোড়ন দিয়া সমস্ত সম্বারা দাও। আদা ছেঁচা মিশাও। ইহার রঙ্গ সবুজ বর্ণ মত হইবে এবং যথেষ্ট ঝোল ঝোল থাকিবে। পূর্ব্ববঙ্গে এই শুক্তার বিশেষ চলন আছে।

 (খ) মাছ কুটিয়া নুণ হলুদ মাখিয়া তৈলে কষিয়া রাখ। গোল আলু, আনাজি কলা, বেগুন, পটোল, ঝিঙ্গা, ডাঁটা প্রভৃতি আনাজ ডুমা ডুমা বা ঈষৎ লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। আনাজি কলায় হলুদ মাখিয়া আলাহিদা তৈলে কষাইয়া রাখ। তৎপর তৈলে লঙ্কা (এক আধটা), মেথি ও সরিষার গুঁড়া ফোড়ন দিয়া আনাজ ছাড়। আংসাও। নুণ ও অল্প হলুদ দিয়া জল দাও। ফুটিলে কষান মাছ ও আনাজি কলা ছাড়। সিদ্ধ হইলে একটু পিঠালী দিয়া ঝোল ঈষৎ গাঢ় করিয়া নামাও। আদা বাটা মিশাও। (ইহার মাছ গোটা থাকিবে)।