পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭২
বরেন্দ্র রন্ধন

কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম ঘটিতেছে। পক্ষান্তরে তেমনই কুমড়ার এবং পাঁচমিশালী আনাজের নিরামিষ ডাল-ফেলানি ঝোলে জিরা ফোড়ন দেওয়া যায়। মেথির পরিবর্ত্তে কালজিরা ফোড়ন জিরার সহিত চলে।

২০৩। চিঙড়ী মাছের ঝাল

 কচি লাউ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া কষাইয়া রাখ। চিংড়ী মাছে নুন হলুদ মাখ। তৈলে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা ও দুটো মেথি ফোড়ন দিয়া মাছ ছাড়। আংসাও। ধনিয়া বাটা, লঙ্কা বাটা ও হলুদ বাটা একত্রে অল্প জলে গুলিয়া ঢালিয়া দাও। আংসাও। মশল্লার সুগন্ধ বাহির হইলে জল দিয়া নুণ দাও। ফুটিলে কষান লাউ ছাড়। জল কমিয়া আসিলে জিরা-মরিচ বাটা, তেজপাত বাটা ও একটু চিনি দাও। পরে পিঠালী দিয়া ঝোল ঘন করিয়া নামাও। ইচ্ছা হইলে লাউয়ের সহিত গাভথোড় বা দুটো ভিজান ছোলা মিশাইয়াও ঝাল বঁধিতে পার। কাঁকড়ার ঝাল এইরূপে রাঁধিবে।

২০৪। লাউ-শোল

 লাউ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া কষাইয়া রাখ। মাষকলাই বড়ি ভাজিয়া রাখ। শোল মাছের ছাল ছাড়াইয়া ছোট ছোট করিয়া কুট। নুণ হলুদ মাখ। তেলে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা ফোড়ন দিয়া মাছ ছাড়। আংসাও। লংঙ্কা বাটা, ধনিয়া বাটা অল্প জলে গুলিয়া ঢালিয়া দেও। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া আর একটু জাল দেও। ফুটিলে কষান লাউ ও বড়ি ছাড়। সিদ্ধ হইলে জিরা-মরিচ বাটা, তেজপাতা বাটা, একটু চিনি ও পিঠালী দিয়া থক্‌থক করিয়া নামও।

২০৫। শোল মাছের কলাপতু

 শোল মাছের ছাল ছাড়াইয়া ছোট ছোট করিয়া কুটিয়া লও। নুণ (হলুদ) মাখ। বুট ভিজাইয়া রাখ। আলু ছোট ছোট ডুমাকারে কুটিয়া তেলে