শুকাইয়া থকথকে হইয়া আসিলে মাংস ছাড়। নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও। একটু ঘৃত ও গরম মশল্লা বাটা মিশাও। উপরে ঘৃতে-ভাজা পেঁয়াজ কুচা ছড়াইয়া দিয়া খাইতে দাও।
খ। পূর্ব্বে সিদ্ধ বা রোষ্ট করা মেষ মাংস লইয়া ছোট ডুমা ডুমা করিয়া কুট। ঘৃতে তেজপাত ও পেঁয়াজ কুচা ফোড়ন দিয়া মাংসের সুরুয়া ছাড়। ফুটিলে নুণ, হলুদ ও একটু চিনি মিশাও। ঝোল থকথকে হইলে মাংস ছাড়িয়া নাড়িয়া চড়িয়া নামাও। অপর হাঁড়িতে লঙ্কা, জিরা-মরিচ, ধনিয়া, আদা, রশুন গরম মশল্লা, বাদাম ঘৃতে ভাজিয়া লইয়া পিষিয়া লও। অতঃপর তা ঐ মাংসে মিশাইয়া লও।
১২৩। ড্রাই (শুকনা) কারী
পক্ষীর মাংসেরই ড্রাই কারী উত্তম হয়। ঘৃতে তেজপাত ও গোটা গরম মশল্লা ফোড়ন দিয়া লঙ্কা বাটা, ধনিয়া বাটা, জিরা-মরিচ বাটা, হলুদ বাটা, আদা বাটা, পেঁয়াজ বাটা ও রশুন বাটা ছাড়িয়া কষাও। মশল্লা ভাজা হইয়া বেশ সুঘ্রাণ বাহির হইলে মাংস ছাড়। আংসাও। মাংসের জল, মরিয়া গেলে গরম জল মিশাও। একটু চিনি ও নুণ দাও। সুসিদ্ধ হইয়া জল শুকাইলে নামাও। উপরে লালচে ভাজা পেঁয়াজ কুচা ছড়াইয়া দাও।
ধনিয়া বাটা, জিরা-মরিচ বাটা ঘৃতে না কষিয়া এক সাথে কাট-খোলায় ভজিয়া ‘ফাকী’ করতঃ কারী নামান পর তাহাতে মিশাইয়া লইতে পার।
১২৪। ‘কান্ট্রী-কাপ্তান’ কারী
পক্ষী মাংস কুটিয়া লও। ঘৃতে কুচান পেঁয়াজ ভাজিয়া উঠাইয়া রাখ। পরে পুনরায় ঘৃতে তেজপাত ফোড়ন দিয়া পেঁয়াজ বাটা, রশুন বাটা, লঙ্কা বাটা ও হলুদ বাটা ছাড়িয়া কষাও। মশল্লা ভাজা হইয়া বেশ সুঘ্রাণ বাহির হইলে মাংস ছাড়। আংসাও। মাংসের নিজ জল শুকাইলে গরম জল দাও।