পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দ্দশ অধ্যায়-আচার ও কাসুন্দি।
২৩৯

আদি তৎসহ গৌণ ভাবে মিশান হইয়া থাকে। সজের বা বার-সজের গুঁড়ায় ধনিয়াদিকে মুখ্য স্থান অধিকার করাইয়া জিরা-মরিচকে নিম্নস্থান বা তদন্তর্গত করিয়া দেওয়া হইয়া থাকে। আম-কাসুন্দি প্রস্তুতের সময় ছাড়া সাধারণতঃ বার-সজের গুঁড়া প্রস্তুত না করিয়া সংক্ষেপে তদর্দ্ধেক পরিমিত ‘সজের’ বা ‘ঝালের’ গুঁড়ার দ্বারাই অপরাপর কাসুন্দি প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়। যথা-(১) লঙ্কা, (২) জিরা, (৩) মরিচ, (৪) তেজপাত, ৫) ধনিয়া, (৬) কালজিরা, (৭) লবঙ্গ। ইহাদের পরিমাণ উপরোক্ত বার সজের মশলার হিসাবের অনুপাতে লইবে।

২১০। ফুল-কাসুন্দি

 আমকাসুন্দি প্রস্তুতের সময় কুটা সরিষা, এবং ভাজা বার-সজের গুঁড়ার অবশিষ্ট ‘মলিখা’ এবং তৎসহ নুণ ও হলুদ মিশাইয়া লইলেই ‘ফুল কাসুন্দি’ প্রস্তুত হইবে। ইহাকে অনুস্বাদ বিশিষ্ট করিতে ইচ্ছা হইলে এতৎসহ আরও আমচুর মিশাইবে।

 এই ‘ফুল-কাসুন্দি’ ফোড়ন দিয়া পবদা মাছের ‘কাসুন্দ-পোড়া’ ঝোল অতি উপদেয় হয়। মোটা মাছের শুকতেও ইহা ফোড়ন দেওয়া হইয়া থাকে।

২১১। তেঁতুল-কাসুন্দি

 তেঁতুল জলে গুলিয়া ছাঁকিয়া লও। নুণ ও হলুদ মিশাইয়া রৌদ্রে দাও। গোলা বেশ ঘন হইয়া আসিলে সরিষার গুঁড়া ও ভাজা বার-সজের বা সংক্ষেপে সজের বা ঝালের গুঁড়া মিশাও। তেঁতুল অধিক অম্ল বিধায় একটু চিনি বা গুড় মিশাও। উত্তমরূপে চট্‌কাইয়া মাখ। অতঃপর পচন নিবারণ জন্য কিছু তেল মিশাও। কয়েক দিবস রৌদ্র খাওয়াইয়া হাঁড়িতে করিয়া উঠাইয়া রাখ। এই এবং পরবর্ত্তী কাসুন্দি তাদৃশ সুচীতা সহকারে প্রস্তুত হয় না সুতরাং ইহার সহিত তৈল না মিশাইলে ইহা শীঘ্র পচিয়া নষ্ট হইয়া যাইবে।