পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

666 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড চট্টগ্রাম সেক্টরে পালিয়া, নোয়াখালী, রাঙ্গুনিয়া এবং রঞ্জন গ্রামে স্থানীয় লোকেরা কয়েকজন তহশীল অফিসারকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে। সংবাদে প্রকাশ, ঔপনিবেশিক সরকাকে কোন কর বা রাজস্ব না দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশ সরকার যে আহবান জানিয়েছিলেন তাতে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাঠান ও বালুচ সৈন্যের আত্মসমর্পণ মুজিবনগর, ৭ই আগষ্ট (পিটি আই)- পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্য বাহিনীর বেশ কিছুসংখ্যক অসন্তুষ্ট বালুচ ও পাঠান সৈন্য মুক্তিবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেছে এবং তারা দেশে ফিরে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে। বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দফতরের একজন মুখপাত্র পিটিআই-র সংবাদদাতার নিকট বলেছেন যে, পাঞ্জাবী অফিসাররা বালুচ ও পাঠান সৈন্যদের সর্বদা কড়া নজরে রাখে। পঞ্জাবীদের হাতে তাদের অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে এমনকি তাদের নিয়মিতভাবে খাদ্যও দেওয়া হয় না। পাঞ্জাবী সৈন্যরা সব সময়েই নিজেদেরকে নিরাপদে রেখে বালুচ ও পাঠান সৈন্যদের মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের সম্মুখীন হওয়ার জন্য অগ্রভাগে ঠেলে দেয়। তাদের সাধারণত পশ্চিম পাকিস্তানে তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে চিঠিপত্র লিখতে দেওয়া হয় না এবং কখনো কখনো দেওয়া হলে চিঠিপত্র কঠোরভাবে সেন্সর করে। বোমাবর্ষণে অসামরিক বিমান আগরতলা, ৭ই আগষ্ট (ইউএনআই)-এখানে খবর পাওয়া গেছে যে, পাক সৈন্য বাহিনীল মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিগুলোর ওপর বোমবর্ষণের জন্য অসামরিক বিমান ব্যবহার করেছে। পাক সৈন্য বাহিনীর পূর্বে শস্যের ওপর বীজাণুনাশক দ্রব্য ছাড়াবার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত এ রূপ দশটি বিমান, দুটি হেলিকপ্টার নিয়ে থেকে পাওয়া গিয়েছিল। এখন সেগুলোকে পরিবহন, মেশিন গান বহন এবং মুক্তিফৌজের সমর্থকদের এলাকায় বোমাবর্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। -আনন্দবাজার, ৮ আগষ্ট ১৯৭১ টাঙ্গাইলে গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধি বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেড চার্জ সম্প্রতি এ দেশের শহরের ক্রমবর্ধমান গেরিলা তৎপরতার সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরেও দুঃসাহসী গেরিলা তৎপরতার সংবাদ এসে পৌছে। গত এক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান গেরিলা তৎপরতার ফলে হানাদার দসু্য সেনাদের নাভিশ্বাস উঠবার উপক্রম হয়েছে। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আজ পর্যন্ত দুঃসাহসী গেরিলারা কয়েক পর্যায়ে আক্রমণ চালিয়ে বেশ কিছুসংখ্যক রাজাকারকে বন্দী এবং প্রায় ২৫ জন হানাদার সৈন্য খতম করেছে। সম্প্রতি আমাদের অসীম সাহসী গেরিলারা টাঙ্গাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের গেটে প্রহারারত দশজন রাজাকারের উপর গ্রেনেড চার্জ করে ৬ জনকে হত্যা করেছে এবং বাকি চারজনকে গুরুতর রূপে আহত করেছে। ত্রটিপূর্ণ প্রহরার অভিযোগে হানাদার মেজর আহতদের পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। গেরিলারা হাবিব ব্যাংক এবং একটি পেট্রোল পাম্পেও গ্রেনেড চার্জ করে । ফলে পেট্রোল পাম্পটি দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রসুলপুরে একজন দুঃসাহসী গেরিলা একটি বাসের উপর গ্রেনেড চার্জ করে ১১ জন রাজাকারকে হত্যা করে। এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল