পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দশম খণ্ড).pdf/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
514

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: দশম খণ্ড

Amin-REN-I, and Sirajuddin A. B. These 8 sailors and a rigorous lift at the frontal fight with the Punjabis at Dharmanagar area (Sylhet) and were in B company under Col. Safiullah. They actively attacked the position of the Pakistanis in three attacks Moreover they used to go for operation inside Sylhet daily under Shaheed Lt. Badiuzzaman. They were engaged in operation inside Bangladesh as well as in border areas of Sylhet the other sailors who revolted also worked under army in different sectors and they also fought gallantly for their country.

 The 17th of December 71 was a red letter day in my life as well as for the people of Bangladesh. At 06-45 hours on the 17th December I captured Khulna town and hoisted the independence flag of Bangladesh on the circuit house building. The people of the town greeted us with the cheers of Joy Bangla and heaved a sigh of relief seeing there own brethren Mukti Fouj amongst then. Major Jalil and the Indian military came to Khulna town at about 11-00 hours on the same day. They became astonished to see me and my group.

-Joy Bangla-

(Mohammad Rahmatullah)
Sub/Lieutenant, Bangladesh Navy
19-11-74

সাক্ষাৎকারঃ[১] মোঃ বদিউল আলম
১১-৬-৭৯

 প্রথম আক্রমনঃ আমাদের নৌ-পথে বাংলাদেশে প্রথম কর্মতৎপরতা শুরু হয় আগষ্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্রথম দিকে। আমি কিছুসংখ্যক ছেলেসহ কলিকাতা হয়ে আগরতলায় আসি হিন্দুস্তান বোমরু বিমানে চড়ে। আগরতলা থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদসহ আমার সংগে বিশজন ছেলে নিয়ে আমি কুমিল্লা অভিমুখে রওনা দিই। আমার টারগেট ছিল কুমিল্লা-চাঁদপুর ফেরীঘাটসহ জাহাজ বিধ্বস্ত করা।

 বিশজনের একটি গেরিলা দল নিয়ে আমি বকশনগর বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করি। পথটি ছিল পাহাড়ী ও বন্ধুর। দুই পাশে পাকসেনার প্রহরাশিবিরের মধ্য দিয়ে গভীর রাতে আমরা পাড়ি জমাই। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছিলেন। সীমানা পার হয়ে আমি প্রথমে আমাদের বাংলাদেশে পদার্পন করি এবং পূর্ণ উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। কোথাও ধানক্ষেত, কোথাও বনজঙ্গল, কোথাও আবার ডোবা নালা বিল। অতি সংগোপনে আমরা সি-এণ্ড রি বড় রাস্তা পার হয়ে নৌকা নিয়ে চলতে থাকি। এইভাবে কিছুদুর যাওয়ার পর আমরা পায়ে হেটে ভিতরে প্রবেশ করতে লাগলাম। এমন সময় সকাল হয়ে গেল। আমরা এক মাস্টার সাহেবের বাড়িতে উঠলাম। মাস্টার সাহেব আমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন। সন্ধ্যার প্রারম্ভে আবার আমরা যাত্রা শুরু করি এবং চাঁদপুরের নিকট সফরমানী গ্রামে ইব্রাহিম মাস্টার (বি-টি) সাহেবের বাড়িতে এসে উঠি। মাষ্টার সাহেবের দুই ছেলে সাজু ও দুলু আমার সঙ্গে ছিল। এর পরদিন আমরা ওখান থেকে গিয়ে উঠি এমসি মিজানুর রহমানের বাড়ীতে। ওখানে নিরাপত্তাবোধ না হওয়ায় আমরা আবার এসে উঠি এক বিখ্যাত মুসলিম লীগ নেতার বাড়িতে। সেখানে জোরপূর্বক তার বড় ছেলেকে জিম্মা হিসাবে আটক রেখে এই হুশিয়ারী দিই যে, আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিলে আমরা তার ছেলেকে হত্যা করবো। এতে বেশ কাজ


  1. প্রকল্প কর্তৃক সংগ্রহীত।