পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুন্দর ఎ రిసె সুন্দরকে দেখতে পেলে সে অতি সহজেই দেখে নিতে পারলে gন্দরকে, কোনো গুরুর উপদেশ পরামর্শ এবং ডাক্তারি দরকার হ’ল ন৷ eার, বিনা অঞ্জনেই সে নয়ন-রঞ্জনকে চিনে গেল । ৬ মাটি থেকে আরম্ভ করে’ সোনা পর্যন্ত, যে ভাষায় কথা চলে সেটি থেকে ছন্দোময় ভাষা পর্যন্ত, তারের সুর থেকে গলার সুর পর্যন্ত বহুতর উপকরণ দিয়ে রূপদক্ষের রচনা করে চলেছেন লুন্দরের জন্য বিচিত্র আসন, মানুষের কাজে কতটা লাগবে কি না লাগবে এ ভাবনা তাদের নেই। কাদায় যে গড়ে সে কাদাছান থেকেই সুন্দরের ধ্যান ধরে চলে, না হ’লে গড়ার উপযুক্ত করে মাটি কিছুতে প্রস্তুত করতে পারে না সে—-এ কথাটা কারিগরের কাছে হেঁয়ালী নয়। চাষের আরম্ভ থেকেই সোনার ধানের স্বপ্ন জমীতে বিছিয়ে দেয় চাষ। কিন্তু যার সুন্দরের ধ্যান মনে নেই/সে যখন ভাল মাটি নিয়ে বসে যায় এবং দেখে মাটি বাগ মানছে না তার হাতে, তখন সে হয়তো বোঝে হয়তো বোঝে ও না কথাটার মম | so ছন্দ, সুর-সার এবং রঙ প্রস্তুত ও তুলি টানার প্রকরণ সহজে মানুষ আয়ত্ত করতে পারে কিন্তু তুলি টানা হাতুড়ি পেটা কলম চালানোর আরম্ভ থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দরের ধ্যানে মনকে স্থির রাখতে সবাই পারে না, এমন কি রূপদক্ষ তারাও সময়ে সময়ে লক্ষ্য হারিয়ে ফেলছে তাও দেখা যায় । যে রচনাটি সর্বাঙ্গসুন্দর তার মধ্যে রচনার কল-কৌশল ধরা থাকে না–কথা সে যেন ভারি সহজে বলা হয়ে যায় সেখানে ! এই যে সহজ গতি এ থাকে না যা সর্বাঙ্গমুন্দর নয় তাতে—কৌশল নৈপুণ্য সবই চোখে পড়ে ৮ কবিতা থেকে এর দৃষ্টান্ত দেওয়া চলে, ছবি মূর্তি সব থেকে এটা প্রমাণ করা চলে। কম কোনো রকমে নিম্পন্ন হ’ল এবং কম খুব হাকডাক ধূমধামে নিষ্পন্ন হ’ল—এ দুয়েরই চেয়ে ভাল হ’ল কমটি যখন সহজে নিম্পন্ন হয়ে গেল কিন্তু কমের জঞ্জালগুলো চোখে পড়লে না । হাড় মাসের কত গাঠ খিল বাধন কসন ইত্যাদি অত্যন্ত জটিল ব্যাপার নিয়ে তৈরি হ’ল মানুষের দেহযন্ত্র, এই সব যান্ত্রিক ব্যাপার যা নিয়ে মানুষটা চলছে বলছে সেগুলো আড়ালে রইলো একখানি O. P. 14–27