পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ
“অস্থায়িভাবে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রকে নিযুক্ত করিয়া কোনোই লাভ নাই। ঈশ্বরচন্দ্র দৃঢ়চিত্ত লোক। বাংলা-শিক্ষা সম্বন্ধে তাঁহার কতকগুলি জোরালো মতামত আছে। যদি তাঁহার মতলব অনুযায়ী কাজ করিতে দেওয়া হয়, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয়ই উৎসাহ ও বিচার-বুদ্ধি সহকারে মঞ্জুরী শিক্ষা-ব্যবস্থাকে সফল করিয়া তুলিবার কার্য্যে লাগিয়া যাইবেন। তিন মাসে হোক আর তিন সপ্তাহে হোক, মিঃ প্র্যাট যেমনি আসিবেন অমনি সরিয়া যাইতে হইবে, এইরূপ অস্থায়িভাবে যদি তাঁহাকে কার্য্যে নিযুক্ত করা হয়, তবে তিনি কিছু করিয়া উঠিতে পারিবেন, এমন আমার বোধ হয় না।

“আমার নির্দ্ধারিত যে বাংলা-শিক্ষার ব্যবস্থা ভারত-গভর্ন্মেণ্ট কর্ত্তৃক অনুমোদিত হইয়াছে, তাহাতে তিন-চারিটি জেলার উল্লেখ আছে। সেই জেলাগুলিতে শিক্ষাব্যবস্থা __ পরিণত করিবার জন্য নির্দ্দিষ্ট বেতনে প্রতিনিধি-সাব-ইনস্পেক্টর __ ঈশ্বরচন্দ্রকে যদি নিযুক্ত করা যায়, তাতে আমি কোনো আপত্তির কারণ দেখি না। ইহাতে মিঃ প্র্যাটের কাজে বাধা পড়িবে বলিয়া বোধ হয় না। ঈশ্বরচন্দ্রের কার্য্যের পরিদর্শন ছাড়াও, যেসব জেলা তাঁহার কর্ম্মক্ষেত্র, সেই-সব স্থানে প্রতিষ্ঠিত ইংরেজী ও ইঙ্গ-বঙ্গ স্কুল ও কলেজ সমূহের ইন্‌স্পেক্টর হিসাবে তাঁহার করিবার কাজ যথেষ্টই থাকিবে।

“বাংলা-শিক্ষার ব্যবস্থা অতি গুরুতর বিষয়। বহু কষ্টস্বীকার এবং যথেষ্ট অনুসন্ধান করিয়া যাহা ঠিক করিয়াছি, সেই ব্যবস্থাই সর্ব্বাপেক্ষা ফলদায়ক বলিয়া আমি বিশ্বাস করি। এই ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের একজন প্রধান উদ্যোগীকে যদি এমন কাজে নিযুক্ত করা হয় যাহাতে নানাভাবে প্রতিহত হইবার আশঙ্কা আছে, এবং তাঁহাকে ভুলপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া যদি সেই ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করিবার দিকে